লড়াই অব্যাহত রাখার শপথ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক ::
যুদ্ধাপরাধী ও ফেরত পাঠানো ১৯৫ পাকিস্তানি সেনার বিচার সম্পন্ন করতে ‘লড়াই’ অব্যাহত রাখার শপথ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নানা পেশার মানুষ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার’ ব্যানারে আয়োজিত এক গণঅবস্থানে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ শপথ বাক্য পাঠ করান। এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান।
আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল রাখার দাবিতে এ গণঅবস্থানে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রম ও পেশাজিবী সংগঠনের নেতারা।
শপথে বলা হয়, ‘আমরা শপথ করছি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি- রাজাকার, আল বদর, জামায়াতে ইসলামীসহ যারা অপরাধ করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে, আমাদের সম্পদ লুট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে- সেই পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচার করতে না পারব; ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
শপথের পর নৌমন্ত্রী ঘোষণা দেন- ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে গণসংযোগ, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জাতীয় কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ, ১৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন, ২০ জানুয়ারি ‘শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করা হবে।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের রায় কাযর্কর হলে পাকিস্তানের শরীরে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। সেজন্য তারা হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। পাকিস্তান হাইকমিশন এখন আর দূতাবাস নয়, সেটা এখন কাশিম বাজার কুঠি হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, এই সেনা কর্মকর্তারা ১৯৭১ সালে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও সাংবাদিক আবেদ খান।