বাণিজ্যমেলায় খাবারের দোকান বন্ধ, কর্তৃপক্ষের ‘চাঁদাবাজি’
নিউজ ডেস্ক ::
বাণিজ্য মেলার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দোকান বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। তাদের অভিযোগ মেলার সদস্য সচিব প্রতিদিন ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে নিয়ে খাবারের দোকানে চাঁদাবাজি করছেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে তারা দোকান বন্ধ রেখেছেন। মেলার সদস্য সচিব রেজাউল করিমের প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন খাবারের দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা।তবে চাঁদাবাজির দাবি মিথ্য বলে দাবি করেছেন রেজাউল করিম।তিনি জানিয়েছেন, মেলায় স্টল বা প্যাভিলিয়নের যে পরিমান টাকা দিতে হয়, খাবারের দোকান মালিকরা তা এখনও দেননি। সেই বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের কাছে যাওয়া হয়েছে।খাবারের দোকানের মালিকদের অভিযোগ, রেজাউল করিম প্রতিদিন সকালে দোকান শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আসেন। এ সময় বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করেন। না দিলে দোকানের মালামাল নিয়ে যান।হাজী বিরিয়ানি দোকানের ব্যবস্থাপক রাজু বলেন, “প্রতিদিন সকালে দোকান খোলার আগে রেজাউল করিম ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে এসে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে দোকান খোলার আগেই মামালাল নিয়ে যান। আজও আমাদের দোকানের মালামাল নিয়ে গেছে।”এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভি বলেন, “বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে এ ধরনের সমস্যা হলে মেলা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”ডিআইটিএফের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি আামদের নজরে এসেছে। মেলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।এ বিষয়ে রেজাউল করিমের নিকট প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সরকারের পাওনা টাকা আদায় করতেই তাদের নিকট যাওয়া হয়েছে। কারণ তারা মেলার অংশগ্রহণের যে পরিমান টাকা দেওয়ার কথা তা দেয়নি। এমন সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, র্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে তাদের কাছে গেছি। যারা বকেয়া টাকা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”