যশোরে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মুখোমুখি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নিউজ ডেস্ক ::
যশোরের আরবপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুগ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। ওই ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে ক্ষমতাসীন দল আশ্রিত দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলোচিত সন্ত্রাসী হেমায়েত। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সন্ত্রাসী আবির হাসান ওরফে হাসান, আজিজুল ও সাঈদ। সম্প্রতি হাসান-আজিজুল-সাঈদ গ্রুপ একজনকে ধরে কুপিয়ে আহত করেছে। বর্তমানে দুগ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।এলাকাবাসী জানিয়েছে, আরবপুর ইউনিয়নের মণ্ডলগাতি ও কৃষ্ণবাটি গ্রামে আধিপত্যের জন্য রাত-দিন ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসীরা। ২০/২৫ জনের এ সশস্ত্র দলে কিশোর সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মূল আস্তানা কৃষ্ণবাটি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায়।অপরদিকে রঘুরামপুর গ্রামের সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসান, আজিজুল ও সাঈদ। তাদের গ্রুপে লালু, রানা, জামশেদ ও আরমানসহ ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ আশ্রয় দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে।সম্প্রতি হাসান-আজিজুল-সাঈদ গ্রুপ বোমা ফাটিয়ে এবং একজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনার পর থেকে দুটি গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থান করছে। আর সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নিরীহ গ্রামবাসী রয়েছে চরম আতঙ্কে। সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।সূত্র জানায়, হেমায়েত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মূলত চাঁদাবাজি করে থাকে। এলাকার বিত্তবান ছাড়াও অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে পেলে তাকে জিম্মি করে এ সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা আদায় করে থাকে। এলাকায় বাড়ি নির্মাণ, জমি কেনা-বেচা করতে হলে হেমায়েত গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। সূত্র আরো জানায়, সন্ত্রাসীদের হোতা হেমায়েত অর্ধডজন মামলার আসামি।
অপরদিকে হাসান-আজিজুল-সাঈদ গ্রুপ মাদক ব্যবসায় জড়িত। সদর উপজেলার রঘুরামপুরে তারা জমজমাট মাদকের ব্যবসা করছে। তারা ইয়াবার ব্যবসা করে। সম্প্রতি পুলিশ সন্ত্রাসীদের এক সহযোগী জাহিদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে।যশোর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্কাস আলীর কাছে আরবপুর ইউনিয়নের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মডেল থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলো শান্ত আছে। তবে কোনো এলাকা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে পুলিশ অভিযান চালাবে।”