চলতি বছর বেসরকারিভাবে হজে আগ্রহীদের আগামী ৩০ মের মধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। পাশপাশি ৩০ জুনের মধ্যে প্যাকেজের টাকা জমা দিতে হবে বলে হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে হাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাবের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাহার।তিনি জানান, হজযাত্রীর বয়স ১৮ এর বেশি তাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক এবং যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তারা অভিভাবকদের সঙ্গে জন্ম সনদের কপিসহ আবেদনপত্র পূরণ করবেন।
হাব সভাপতি জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ মের মধ্যে সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে তবে হজ প্যাকেজ ঘোষিত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা সাপেক্ষে পিলগ্রিম (হজ) আইডি দেওয়া হবে। ৩০ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হবেন তারা পিলগ্রিম আইডি পাবেন না এবং এ বছর হজে যেতে পারবেন না তবে পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত তাদের নিবন্ধন বলবৎ থাকবে। রেজিস্ট্রেশনের আবেদন ফরম হজ এজেন্সি ও মনোনীত ব্যাংকগুলোতে পাওয়া যাবে।ইব্রাহীম বাহার জানান, সকল হজযাত্রীকে হজের সমুদয় অর্থ (কিস্তি প্রযোজ্য) আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো অবস্থাতেই হজের অন্যান্য খরচের টাকা জমা নেওয়া হবে না বলে হাব সভাপতি জানান।হজের টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ঠ হজ এজেন্সিকে অথবা এজেন্ট এর মনোনীত ব্যাংক হিসাবে জমা করে এর রশিদ সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক বলেও হাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, গত সোমবার জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-২০১৬ এবং হজ প্যাকেজ-২০১৬ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার লোক হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচ হাজার এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন হজে যেতে পারবেন। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন হজ প্যাকেজ কোরবানি ছাড়া তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।