‘যদি কেউ এ দেশের ক্ষতি করে থাকে তবে তিনি জিয়াউর রহমান’
নিউজ ডেস্ক ::
যদি কেউ এ দেশের ক্ষতি করে থাকে তবে তিনি জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। শনিবার ঝালকাঠির পুরনো স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন হচ্ছে। কেউ যদি এ দেশের ক্ষতি করে থাকে তবে তিনি জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে শুরু করেন জ্বালাও-পোড়াও আন্দলন। এর মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা শেষ করেন পদ্মাব্রিজের উদ্বোধন। ১৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব উজ্জল সাল। এ সালে আমরা পদ্মাব্রিজ, রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ অনেক বড় বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি।”
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “খালেদা জিয়া নাকে খদ দিয়ে নির্বাচনে এসেছেন। ভবিষ্যতেও তিনি নির্বাচনে আসবেন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করে শেখ হাসিনা সরকারকে কিছুই করা যাবে না। এজন্য তিনি সঠিক পথে এসে নির্বাচন করছেন। ২০১৯ সালেও তিনি নির্বাচন করবেন।”তোফায়েল বলেন, “এবার পৌর নির্বাচনের মানুষের রায় হয়েছে পেট্রলবোমার বিরুদ্ধে। নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করার বিরুদ্ধে। বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া শহিদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। পাকিস্তান এখনো স্বীকার করে না, বাংলাদেশে কেউ শহিদ হয়েছে। খালেদা জিয়াও এখন পাকিস্তানের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছেন।”এসময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক সকল পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। বাংলাদেশকে যারা মেনে নিতে পারেনি, বারবার তারাই আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেষ্টা করেছে।” তিনি আরো বলেন, “এদেশের মানুষ তা বুঝতে পেরেছে বলেই আজকে দলে দলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পতাকা তলে তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তারা এগিয়ে এসেছে। এদেশে একাত্তরে পাকিস্তান যেভাবে গণহত্যা চালায়, তার অন্য সংস্করণ হলো বিএনপি জোটের আন্দোলন।”আমু বলেন, “জনগণ দ্বারা বিতারিত হয়ে বিএনপি এখন ঘর নিতে বাধ্য হয়েছে। বিএনপির জন্ম গণতন্ত্রের মাধ্যমে নয়। তাই তারা গণতন্ত্রকে মেনে নিতে পারছে না। বিএনপি অস্ত্রের জোরে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।” জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু প্রমুখ।