‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না’
নিউজ ডেস্ক:: জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে রাজপথে থাকবে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির নেতা সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, আমরা মিছিল মিটিং করব।
সংসদে সরকারের সমালোচনা করব। রাজপথেও থাকব। কিন্তু সন্ত্রাস করব না। গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।
জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু জাতীয় ইস্যুতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সুশাসনের অভাব, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি এবং রাস্তায় সরকার পরিবর্তনের অগণতান্ত্রিক প্রথা বন্ধ করতে হবে। উন্নয়ন প্রক্রিয়া কী হবে তা ঠিক করতে হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য পদ লাভ করায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব বাবলু বলেন, দেশে বর্তমান রাজনীতিতে দু’টি ধারা বিরাজমান। একটি ধারা সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ধারা। অন্যটি জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ধারা।
জাতীয় কনভেনশন আয়োজনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন যাতে মানুষের জীবন বিপন্ন না করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নির্ধারণে সব নিবন্ধিত দলকে নিয়ে জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করুন।’
বাবলু বলেন, ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। এখনও জানি না তিন বছর পর কি পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি যে দলই ক্ষমতায় আসুক পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করা উচিত।
‘কিন্তু এখনো শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রক্রিয়া আমারা এত বছরেও উদ্ভাবন করতে পারিনি। এই উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।’
দেশে সুশাসনের অভাব আছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু ব্যক্তি স্বাধীনতা নয়, জীবনের অধিকারও। ঢাকায় একজন চা বিক্রেতাকে মারা হলো, রাজনসহ কয়েকজন শিশু হত্যা হল, সাগর-রুনি হত্যার কত বছর হলো? এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। সুশাসন নেই বলেই এসব হত্যা হয়েছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন হাতে হাত ধরে চলে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, লেখা ও বলার স্বাধীনতা বন্ধ করা যাবে না।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বন্ধ করা যাবে না। নির্ভয়ে লেখার, ছবি প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। কোন অদৃশ্য চাপে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করা যাবে না। তা না হলে চোরা পথে আসা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস আমাদের জীবন বিপন্ন করবে।
‘সমালোচনাতে সরকারেরই উপকার। হিটলার-মুসোলিনির সমালোচনা হতো না তাই তারা জানত না তাদের সময়ে তাদের দেশে কি হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, শামসুল হক হায়দরী ও চৌধুরী ফরিদ এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।