৪ শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে বাহুবলবাসী
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা :: হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। ছেলে ধরা ভীতির কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও এলাকাবাসী বলছেন, দ্রুত ঘটনার মোটিভ উদ্ঘাটন করতে না পারলে স্বাভাবিক হবে না পরিস্থিতি।
এর আগে বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা আধুনকি হাসপাতালে ওই চার শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে চার শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বুধবার বিকেলে ৪ শিশুর ময়না তদন্ত শেষে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. দেবাশিষ দাস ও ডাক্তার আবু নাঈম হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে। আজ রাতেই নিহত চার শিশুর দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
খুন হওয়া ৪ শিশু সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিলো। শুক্রবার নিখোঁজের পর এলাকায় মাইকিং করায় শিশুদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে কমতে থাকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আর ফাঁকা হতে থাকে ক্লাস।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান গত কয়েকদিন থেকে ক্লাসে দুইজন থেকে ১০ বা ১৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই চার শিশু। নিখোঁজের পাঁচদিন পর বুধবার সকালে বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি এলাকা থেকে তাদের মাটি চাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশুরা হল- উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে স্থায় স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।