মাস খানেক চুরির কথা গোপন রাখা হয়েছে: অর্থসচিব
নিউজ ডেস্ক :: অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এম আসলাম আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির বিষয়টি প্রায় মাস খানেক তাকে জানানো হয়নি।
অর্থ চুরির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান সচিব। তিনি দীর্ঘসময় সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এম আসলাম আলম বলেন, অর্থ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা হয়েছে। কোনো সভাতেই বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। এই তিন বৈঠকের কোনোটিতেই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি প্রায় মাসখানেক তার অগোচরে ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা অবশ্যই আমাদের এবং সরকারকে জানানো উচিত ছিল। কেন জানায়নি, আমি জানি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয় ৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংক গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের মাধ্যমে ৯৫ কোটি ১০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৩০টি নির্দেশ আটকানো সম্ভব হয়। তাতে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া প্রতিহত করা গেছে।
তবে পাঁচটি পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় চলে যায়। তার মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।