গভর্নর পদত্যাগ করলেও নেপথ্যে আছে গডফাদার
নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় গভর্নরের পদত্যাগ ও দু’জন ডেপুটি গভর্নরের অপসারণ করা হলেও এ ঘটনার নেপথ্যে গডফাদার রয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সেই গডফাদারদের লুকিয়ে না রেখে সম্মুখে আনারও দাবি জানায় দলটি।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ দাবি জানান।
তিন বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিদিন কোনো না কোনো ফাঁক দিয়ে নেপথ্যের নায়কদের আসল চেহারা মানুষের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে। অপকর্ম-অপকীর্তি বেশিদিন বস্তাবন্দি করে রাখা যায় না। গায়ের জোর খাটিয়ে পেশিশক্তির প্রদর্শনে মানুষের অন্তরের যে উপলব্ধি সেটিকে ভুলিয়ে দেয়া যায় না।’
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা যে জড়িত তা জাতির কাছে একেবারেই সুস্পষ্ট। ঘটনা ঘটার ৪০ দিন পর অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তাহলে কি অপরাধিদেরকে পার করে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা ভেলকিবাজির মতো বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশে-বিদেশে যখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তিতাস গ্যাসের ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা লোপাটের মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আসলে সারাদেশ এখন লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে রাখছে, যাতে পালানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এই টাকাগুলো তাদের কাজে লাগে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘লুটপাটকারীদের দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত না হলে দেশ অচিরেই দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। এই ভয়াবহ নৈরাজ্যময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায়, ভোটারবিহীন সরকারের জোর করে আকড়ে রাখা ক্ষমতা ত্যাগ করে বিদায় নেয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।