পাহাড়ি ঢলে শ্রীমঙ্গলে বন্যা

শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা :: দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড মাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নেমে এসেছে পাহাড়ি ঢল। যা থেকে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। উপজেলার ছড়ার ধর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঘর-বাড়িগুলো পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। ফসলের ক্ষয়-ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (০৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় পশ্চিম ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি শ্রেণি কক্ষসহ মোট তিনটি কক্ষের ফ্লোর পানিতে তলিয়ে গেছে। স্কুলে মাত্র দু’চার জন শিক্ষার্থী দেখা যায়, বাকিরা কেউ আসেনি।
হাওর এলাকার এ বিদ্যালয়ে চলতি বছর এর আগেও প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জবা রানি দেব বলেন, ‘সকাল ৯টায় আমি হাঁটু পরিমাণ পানি অতিক্রম করে ক্লাসে এসেছি। এসে রুম খুলে দেখি সমস্ত ঘরে পানি। আলমারির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র ভিজে গেছে।
বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৮১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও জানান তিনি।এদিকে, বন্যাকে কেন্দ্র করে পথে পথে স্থানীয় লোকজনদের জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় জাল বিছিয়ে মাছ সংগ্রহে জেলেদের জীবিকায় যুক্ত হয়েছে বাড়তি আয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার মো. হারুনুর রশিদ বলেন, শ্রীমঙ্গল দু’দিনে ১৫৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার (০৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট থেকে থেমে থেকে সোমবার (০৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়।
সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেও জানান তিনি।
পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকার স্থানীয় এক কৃষক জানান, বৃষ্টির কারণে তার জমির ২৯ জাতের ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত দেব বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হয়ে ধানখেতে সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। এটি তেমন কোনো সমস্যা নয়। যদি আর বৃষ্টিপাত না হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই আট-দশ ঘণ্টার মধ্যেই পানি নেমে যাবে।