এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।
ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তনুর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের পর ঢাকায় প্রেরিত ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের হতে এসে পৌঁছেছে। সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিনি প্রতিবেদন হাতে পান।
তিনি জানান, তনুর মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামতের কথা বলা হয়নি। ভিসেরা পরীক্ষায় কোনো বিষক্রিয়ার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে তনুর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের পর এর প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর আবারো ময়না তদন্ত করা হয়। তবে দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি তদন্তে র্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে।