রাজশাহীতে গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ, একজনের মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীতে টানা কয়েকদিন ধরে চলছে তাপদাহ। তাপদাহে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। মঙ্গলবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রচণ্ড গরমে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আব্দুল হামিদ রেন্টু (৫০)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা (প্রেমতলী) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রেন্টু উপজেলার সেখেরপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।
রেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। মঙ্গলবারই তিনি প্রথম বিস্কুটের ব্যবসা শুরু করে উপজেলার মরাদীঘি এলাকায় ভ্যানে করে বিস্কুট বিক্রি করতে যান। বেলা ৩টার দিকে প্রচণ্ড গরমে তিনি ওই এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে রেন্টুর উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পরও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। বাতাসে আদ্রতা ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ।
আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভবনা নেই। আপাতত দু’একদিনের ভেতর বৃষ্টিপাতেরও সম্ভবনা নেই। ফলে আগামী আরো কয়েকদিন চলমান তাপদাহ অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগিদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গরমে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে সর্দি, জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে। এ ছাড়া বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যাও।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যায় বেশি। তাই অবশ্যই পানি দীর্ঘ সময় ধরে ফুটিয়ে পান করতে হবে। তীব্র গরমে খাবার গ্রহণে হতে হবে সতর্ক।