তাপদাহ থেকে বাঁচতে রাজশাহীতে ‘এস্তেস্কার’ নামাজ আদায়

নিউজ ডেস্ক :: প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আয়োজনে আদায় করা হয়েছে ‘এস্তেস্কার’ নামাজ। শাহমখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশেষ এই নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজে ইমামতি করেন সোনাদিঘী জামে মসজিদের খতিব শেখ তৈয়বুর রহমান নিযামী। এসময় পানির জন্য প্রার্থনা করেন ইমাম। ২ রাকাত নফল নামাজ শেষে পানির জন্য পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে প্রার্থনায় মিলিত হন মুসল্লীরা।
মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য আদায় করা হয় এস্তেস্কার নামাজ। এস্তেস্কার শব্দটির অর্থও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা।
রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম-উল-আযিম ছাড়াও প্যানেল মেয়র -২ হিসেবে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম রাশেদুল হাসান টুলুসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ নামাজে অংশ নেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ওই নামাজে জায়নামাজসহ শহরের সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়।
রাজশাহীতে গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মাঝারি তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। কখনো কখনো তা তীব্র হয়ে উঠছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানিয়েছেন, ‘তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ বলা হয়। আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে তাকে অতিরিক্ত তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।’
তিনি জানান, গত প্রায় এক মাস ধরেই রাজশাহী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লতিফা হেলেন আরও জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা রেকর্ড করা হয় মাত্র ৩৮ শতাংশ। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বেলা ৩টায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আগামী আরও প্রায় দু’সপ্তাহ এই তাপদাহ বিরাজ করবে। এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতেরও তেমন সম্ভাবনা নেই। আর বৃষ্টিপাত না হলে কমবে না তাপমাত্রা।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা, তার ওপরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনের পাশাপাশি রাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। একটু পর পর এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। তাপদাহ অব্যাহত থাকায় নাভিশ্বাস রাজশাহীবাসীর।