উঠতি ৩০ সন্ত্রাসীকে খুঁজছে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক ::
চট্টগ্রামে ১৭ থেকে ২০ বছর বয়সের ৩০ সন্ত্রাসীকে খুঁজছে পুলিশ। হত্যা, ছিনতাই আর ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এরা। যারা অল্প দিনেই ছিঁচকে থেকে উঠে এসেছেন শীর্ষ তালিকায়। ইতিমধ্যে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মোস্ট ওয়ান্টেডদের কয়েকজন। হঠাৎ করেই বেপরোয়া হয়ে অপরাধীদের তালিকায় নাম লেখানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ বিভাগ। বিভিন্ন ঘটনায় যারা ধরা পড়েছেন জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের মতো এমন অনেক অল্প বয়সী তরুণ রয়েছে, যারা ভারি অস্ত্রশস্ত্র থেকে নিত্যনতুন হত্যার সঙ্গে জড়িত। নগর পুলিশ জানায়, শহরের আকবর শাহ, বায়েজীদ, সিটি গেইট, চান্দগাঁওসহ একাধিক জায়গায় সন্ধ্যা হলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে এসব অপরাধীরা।
এর আগে একাধিকবার তাদের অনেককেই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় পুলিশ। গত ২৬শে এপ্রিল চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলী এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারা যায় রাসেল নামের এক ডাকাত। তার বয়স ২০ বছর। পুলিশ জানায় এই সময় ১৭ থেকে ২০ বছর বয়সের আরও ৫ জন ধরা পড়ে। যাদের সবাই নগর গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ধরা পড়া এসব অপরাধীরা হলো রুবেল, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন, মোহাম্মদ রানা ও মো. রুবেল-২। জিজ্ঞাসাবাদে আকবর শাহ থানা পুলিশের কাছে ১৭ বছর বয়সী রুবেল বলেন, আমি বন্দুক চালাতে পারি। রামদা ছোরা চালাতে পারে অন্যরা। আগে এক সময় শহরে ছিনতাই করতাম। এখন ডাকাতির খাতায় নাম লিখিয়েছি।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ বলেন, একটু হতবাকই হয়েছি। উঠতি তরুণরা ডাকাতির খাতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী। এরা অনেকদিন ধরেই সাগরপাড়ে নানা অপরাধ করে আসছিল। বয়স কম হলেও তারা বড় ডাকাত। দিনদুপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত ২৭শে এপ্রিল নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ধরা পড়ে স্থানীয় একটি গ্যারেজের সিসি ক্যামেরায়। সিসি ক্যামেরার এই ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এদের মধ্যে নোমান ও লিসান নামের ২০ বছর বয়সী দুই সন্ত্রাসী ধরা পড়ে। যারা দীর্ঘদিন সেখানে ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল বলে জানায় পুলিশ। নগরীর সিটি গেইট এলাকার ত্রাস সুমন নামের এক উঠতি সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে শুক্রবার। পুলিশ জানিয়েছে, সে দীর্ঘদিন অস্ত্র ব্যবসা করে আসছিল। ধরা পড়ার সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গত ২১শে এপ্রিল এক ব্যবসায়ীর মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে চট্টগ্রামে ৫ অপহরণকারী। যারা পুলিশের খাতায় জিম্মি চক্র হিসেবে পরিচিত। এদের মধ্যে অনন্য বড়ুয়া রনি, সুমন গাজী, মিজানুর রহমান ও জেসমিন আক্তার জুঁই নামের ৪ জন রয়েছেন। বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, উঠতি এসব অপহরণকারীরা লোকজনকে কৌশলে ধরে নিয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো। লোকজনকে জিম্মি করার নানান কৌশল ছিল তাদের হাতে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।