সিলেটের তিন উপজেলায় ভোটের লড়াই কাল
স্টাফ রির্পোটার ::
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার থেকে সকল প্রার্থীদের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে নির্ঘূম প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আগামীকাল ভোটগ্রহণ করা হবে।
গতরাত ১২টার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিন উপজেলায়ই প্রার্থী ও সমর্থকরা চালিয়েছেন বিরামহীন প্রচারণা। প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়ামহল্লা ব্যানার-পোস্টারে এখন সয়লাব। প্রার্থীরা লিফলেট হাতে রাত ১২টা পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি। এরআগে দিনরাত চলছে গণসংযোগ, আলোচনাসভা আর উঠোনবৈঠক।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কাল সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছেন। গতরাত ১২টার পর থেকে সকল প্রচারণা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দক্ষিণ সুরমা: এ উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৭, সাধারণ সদস্য পদে ২৬৮, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৩ জন, মহিলা ভোটার ৬৩ হাজার ৩৮ জন। ৭টি ইউনিয়নে ৬৩টি ওয়ার্ড, সংরক্ষিত ২১টি ওয়ার্ড এবং ভোটকেন্দ্র থাকবে ৬৬টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৯০টি।
বিশ্বনাথ: এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ উপজেলার ২টি ইউনিয়নে (দশঘর ও দেওকলস) নির্বাচন হচ্ছে না।
গোলাপগঞ্জ : গোলাপগঞ্জে ৪র্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার থেকে মাঠে নামছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সদস্যরাও ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অপর দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর সদস্যরাও গতকাল থেকে উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিজিবি’র সদস্যরা সমগ্র উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে। ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ট করতে ১১টি ইউনিয়নে গড়ে তোলা হবে নিরাপত্তা বেষ্টনী। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় নির্বাচনী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনের আগের রাত থেকে নির্বাচনের পরের রাত পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এবং আজ রাত ১২ টায় থেকে তিন দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।