অস্ট্রেলিয়ার আশ্রয় শিবিরে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ নাউরুতে অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে। তবে এটি মৃত্যু না আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হৃদরোগজনিত কারণে মারা গেছেন ২৬ বছরের রকিব ওই যুবক।
গত ৯ মে নাউরুর বুকের ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রকিব। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। তাকে সারিয়ে তোলার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর আগেই বুধবার সকালে মারা যান ওই যুবক।
তবে নাউরুর শরণার্থী শিবির বলছে, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার আগে তিনি আত্মহত্যা করার জন্যই ওইসব ওষুধ খেয়েছিলেন। তবে নাউরুরর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই খবর সতত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে অস্ট্রেলিয়ার গার্ডিয়ান প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
রাকিবকে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নাউরুর আশ্রয় শিবিরে এটি দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির ঘটনা ঘটছে। সেখানে দীর্ঘ আটকাবস্থার প্রতিবাদে ২৩ বছর বয়সী এক ইরানি যুবক এবং ২১ বছরের এক সোমালি যুবতী গায়ে আগুন দেয়। এতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সোমালি নারী প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শরণার্থীদের অধিকারের পক্ষে কর্মরত অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ‘রিফিউজি অ্যাকশন কোয়ালিশন’র সমন্বয়ক ইয়ান রিনটৌল বলছেন, বাংলাদেশি এই যুবক অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়েছিলেন বলে সেখানে আশ্রিতরা তাকে জানিয়েছেন। রাকিবের বন্ধুরা বলেছে, নাউরুতে আশ্রিত অন্যদের মুক্তি পেতে যে মরিয়া অবস্থা তা-ই তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের পাপুয়া নিউ গিনির মানুস দ্বীপ অথবা নাউরুর আশ্রয় শিবিরগুলোতে পাঠিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ওই সব আশ্রয় শিবিরের বাজে পরিস্থিতি এবং সেখানে নির্যাতনের খবরে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পাশাপাশি জাতিসংঘেরও সমালোচনা রয়েছে।