এসপির স্ত্রী হত্যা নিয়ে যা বললেন বাসার দারোয়ান
নিউজ ডেস্ক: নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে (৩২) গুলি করে হত্যা কারা হয়েছে। ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে আজ রোববার সকালে মাহমুদা এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন কয়েকজন প্রতিবেশী ও বাসার দারোয়ান।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছিলেন বাবুল আক্তার। সম্প্রতি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় যান তিনি। তবে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী মিতু চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকার একটি বাসায় থাকতেন। আজ সকালে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে প্রথম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিরকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়েছিলেন মিতু। ওই সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।
মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেশী মধ্যবয়সী এক পুরুষ বলেন, ‘আমি নিচে নামসি, আমার বাচ্চা নিয়া। দেখতেসি উনার বাচ্চা কান্না করতেসে গেটে। তার আগে ইন্টারকমে আমাকে দারোয়ান ফোন দিল, স্যার বাবুল আক্তারকে (বাবুল আক্তারের স্ত্রী) মেরে ফেলসে। তো, নিচে নেমে দেখতেসি, বাচ্চা কান্না করতেসে। দৌড়ে আসলাম, দেখি ডেড বডি। এতটুকু দেখলাম।’
প্রতিবেশী এক নারী বলেন, ‘আমরা দুজনই ছিলাম। বাচ্চা চলে গেসে। আমরা দেখি উনি (মাহমুদা খানম মিতু) একা পড়ে আছে। আর কিসু দেখি নাই। তখন ৬টা ৪০।’
মিতু যে বাসায় থাকতেন, সে বাসার দারোয়ান বলেন, ‘লোকে দৌড়াদৌড়ি করতেসে। তা আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী হইসে। কয় একটা মহিলারে মাইরা গেসেগা। তকন আমি দেহি বাবুল সাহেবের ছেলেডা (কান্নাজড়িত কণ্ঠে)।’
‘তকন আমি দিসি দৌড়। দৌড় দিয়া গিয়া কোল লইসি। কয় আমার আম্মুরে মাইরালাইসে। তকন ওইডারে বুহ (বুকে) রাইখা দেখলাম সাইডে দুইডা গুলি পইড়া রইসে। এরপরে ছেলেডারে লইয়া আইসি আমি।’
ওই দারোয়ান আরো বলেন, ‘এক লোহে (লোক) কইল যে, হোন্ডা দিয়া তিনডা লোক ওই দিকতে আইসা, কয় আগে নাকি চাকু মারসে। চাকু মাইরা তিনটা গুলি করসে।’ ‘বাচ্চাটা তাড়াতাড়ি আমি লইয়া আইসি। বলা যায় না, বাচ্চাডাও তো মাইরা লাইতারে।’