প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির বিশ্লেষন

নিউজ ডেস্ক :: ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রত্যাখান করলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এই নিয়ে বিশ্লেষন দিয়েছেন।
আজ বুৃধবার দুপুরে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জনবান্ধব বাজেট দিতে পারবে না। এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। আমরা মনে করি একটি সুষ্ঠ এবং সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠিত হয় তেমন একটি সংসদের পক্ষেই সত্যিকারের দেশপ্রেম ও জনকল্যানমূখী বাজেট অনুমোদন করা সম্ভব।
বর্তমান সংসদের সে রকম চরিত্র নেই। আমরা আশা করবো দেশে সত্যিকার জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হবে। এজন্য একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর রাজস্ব সংগ্রহ লক্ষমাত্রার ক্ষেত্রে উচ্চবিলাসী। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে যেভাবেই কর আরোপের চিত্র দেখানো হোক না কেন? বাস্তবে মানুষকে অতিরিক্ত করের বোঝা বহন করতে হবে। এর বিনিময়ে জনগণ কি পাবে সেটা স্পষ্ট করা হয়নি। উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেলে বিশাল অংকের আয়কর আহরণ সম্ভব হবে।
এর ফলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষটিও সহজসাধ্য হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই লক্ষে সৃজনশীল উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি ব্যক্তিখাতে পুজি বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারি বিনিয়োগের উপর নির্ভর করছে। আমরা মনে করি বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যক্তি খাতকেই এগিয়ে আসার সুযোগ দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, সরকারি বিনিয়োগ প্রায়ই অদক্ষতা দোষে দুষ্ট হয়। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে যারা বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা করেন তাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থাকে না। অর্থমন্ত্রী বাজেট রচনার স্তরে কিছু কিছু জনগোষ্ঠির সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। কিন্তু সেসব গোষ্ঠির পক্ষ থেকে বাজেট পেশের পর বলা হয়েছে তাদের পরামর্শ বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে যুবকদের আগ্রহ রয়েছে। সেই খাতে কর আরোপের ফলে খরচ বেড়ে যাবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।