টিভি দেখছিলেন স্ত্রী, পাশেই পুড়ে মরলেন স্বামী
নিউজ ডেস্ক: পাশাপাশি দুটি ঘর। তার একটায় স্বামী জ্বলছেন। আর একটায় স্ত্রী বসে টিভি দেখছেন! টিভিতে তিনি নাকি এতটাই বুঁদ হয়েছিলেন যে মরণাপন্ন স্বামীর আর্তনাদও কানে পৌঁছয়নি তার! পুরো ঘটনার বিবরণ জানাতে গিয়ে পুলিশের কাছে এটাই স্ত্রীর স্বীকারোক্তি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
গত শুক্রবার রাতে কলকাতার মানিকতলায় হাউজিং-এর বাসিন্দারা কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাট থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। শনিবার সকালে ওই ফ্ল্যাটের দু’টি ঘর থেকে দু’জনকেই উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী সুতপা বরাত তখন অবশ্য বসার ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। আর তাঁর স্বামী রনজিৎ বরাতের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় পাশের একটি ঘর থেকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুতপাদেবীর সঙ্গে রনজিৎবাবুর সম্পর্ক কোনও দিনই ভাল ছিল না। তারা রোজ রাতে মদ্যপ অবস্থায় ঝগড়া করতেন। একে অপরকে গালাগাল করতেন। পাড়ার কেউ আপত্তি জানাতে এলেও জুটত কুকথা। তবে ওই রাতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি না তা তাঁরা বলতে পারেননি।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। দরজা ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করেন। কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দু’জনকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রনজিৎবাবু সিইএসসি-তে চাকরি করতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মুম্বইয়ের গুরগাঁওয়ে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ রঞ্জিত কুমারের স্ত্রীকে আটক করে। রাতেই তাকে মানিকতলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। স্ত্রী জানান, ঘরেই স্বামী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করছেন অথচ ঘরে থাকা সত্ত্বেও তিনি কিছুই জানতে পারেননি। স্ত্রীর এই বয়ানে সকলেই থ।