যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়ায় দুশ্চিন্তায় এশিয়ার দেশগুলো
নিউজ ডেস্ক :: ইওরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এমন আশঙ্কা এখন চীনসহ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের ইওরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে তা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন চীনের অর্থমন্ত্রী। চীনের অর্থমন্ত্রী লু জিবাই বলেন, ‘ব্রেক্সিটের ফলাফল এখনই খুব একটা পরিষ্কার নয়, তবে বছর-খানেকের মধ্যেই সেটি স্পষ্ট বোঝা যাবে’।
আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন চীনের অর্থমন্ত্রী।
তিনি গত শুক্রবার বিশ্বের মুদ্রাবাজারে এর প্রভাব উল্লেখ করেন এবং মন্দাভাব দ্রুত কেটে ওঠার আশা করেন।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য হুয়াং ইয়াইপিং বলেন, ব্রেক্সিট বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াকে ওলট-পালট করে দিতে পারে। তা চীনের জন্যও তা খুবই খারাপ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত বছর যুক্তরাজ্যে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগে চীনের অবদান ছিল ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের।
গত বছর অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং ব্রিটেন সফরে যান। এসময় দুদেশের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই হয়।
ব্রেক্সিট-এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার বিষয় নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কর্মকর্তাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ নিয়ে জাপানের ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় টোকিও প্রস্তুত।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি আসছেন লন্ডন সফরে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী লেবার দলেও যখন চলছে ভাঙ্গন তখন লেবার নেতা জেরোমি করবিন বলছেন, তিনি নেতৃত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনে যদি আবারও নির্বাচন হয়, সেখানে তিনি লড়বেন। আর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার ছায়া মন্ত্রিসভা পুনঃগঠিত করবেন বলে জানিয়েছেন করবিন। এরই মধ্যে তার ১১জন ছায়ামন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।