পরিবারের সবাইকে বাঁচানো হাফিজের লাশ মিলল আজ

নিউজ ডেস্ক :: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় নৌকাডুবির দুদিন পর মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক হাফিজ উদ্দিনের (৪৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে বড় হাওরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। আজ সকাল ৬টায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে স্থানীয় বাসিন্দারা হাফিজ উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করেন। গতকাল দিনভর চেষ্টা করেও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নিখোঁজ হাফিজ উদ্দিনের সন্ধান পায়নি। নিহত হাফিজউদ্দিন করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা হাফিজ উদ্দিনের লাশটি দেখতে পান।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নৌকাটি জয়কা ইউনিয়নের বারুক বাজার থেকে ইন্দ্রাচুল্লি গ্রামে যাচ্ছিল। ঢাকায় ঈদ কাটিয়ে আসা পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে নিতে হাফিজ উদ্দিন নিজেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নিয়ে এসেছিলেন। এ সময় নৌকায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল স্ত্রী রোহেনা বেগম, মেয়ে খাদিজা, ছেলে আনসারউল্লাহ, বাহালুল, আমিনুল, আল-আমিন, তাসনিম ও চার মাস বয়সী নাতি নাসিরুল্লাহ। কিন্তু নৌকাটি ছাড়ার পর পরই প্রচন্ড দমকা বাতাসের কবলে পড়ে এবং মাঝামাঝি দূরত্বে পৌঁছানোর পর একপর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যায়।
হাফিজ উদ্দিনের ভাই মাওলানা উসমান হারুনি জানান, নৌকাডুবির পর পরই মাঝি ও সহকারীরা সাঁতরে কুলে ওঠেন। এ সময় হাফিজ উদ্দিন দ্রুত পানিতে নেমে পরিবারের সবাইকে ভেতর থেকে বের করে নৌকার ভেসে থাকা সামনের অংশে বসিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে ছোট ছেলে তাসনিমকে নিয়ে সাঁতরে কাছেই একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বসিয়ে অন্যদেরও সেখানে নেওয়ার জন্য ফিরে আসার সময় পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে অন্যদের উদ্ধার করেন।