পুলিশের তালিকাভুক্ত যশোরের মুন্নার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ
নিউজ ডেস্ক :: পুলিশের প্রকাশিত তালিকায় যশোরে এক নম্বরে থাকা ‘কথিত জঙ্গি’ কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্নার বিষয়ে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। মুন্না গত দুই বছর ঢাকার যে স্থানে অবস্থান করছিল সেখানে পুলিশ গত সোম ও মঙ্গলবার সারাদিন খোঁজ নিয়ে তার কোনো ধরনের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে তথ্য পায়নি।
অবশেষে দু’দিন হেফাজতে রাখার পর মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ ৫১ ধারায় তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে। এর আগে গত সোমবার ভোরে নববধূ নিয়ে বাড়ি ফিরে বেলা ১১টার দিকে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে কোতোয়ালি থানায় যান মুন্না। সে যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা মুন্নার বিষয়ে সোম ও মঙ্গলবার সারাদিন খোঁজ খবর নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এসআই শেহাবুর রহমান বাদী হয়ে তাকে ৫১ ধারায় সন্দেহমূলক আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার ভোরে যশোর পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘কথিত জঙ্গি’ মুন্না দুই বছর নিখোঁজ থাকার পর নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এদিন মুন্না যশোর কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে জানান, বকাঝকা করায় মায়ের ওপর অভিমান করে তিনি দুই বছর আগে বাড়ি ছাড়েন। ঢাকায় চাকরি করে তার জীবন চলতো। একদিন (২৪ জুলাই) আগে ঢাকায় তিনি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পরই স্ত্রীকে নিয়ে যশোরে ফিরে এসেছেন। জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত ১০ জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে মুন্না নিখোঁজের বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সোমবার মুন্না ঢাকা থেকে বাড়ি এসে স্বজনদের নিয়ে সোমবার কোতোয়ালি থানায় এলে সেখানে উপস্থিত হন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
সে সাংবাদিকদের বলেন, মুন্নার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যে সাধারণ ডায়েরি করা হয়, সেখানে সন্দেহ করা হয় সে হয়তো জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে। এই ডায়েরির ভিত্তিতে পুলিশ তাকে জঙ্গি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এবং তাকে সহ মোট পাঁচ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পোস্টার ছাপায়।
তবে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে কামরুজ্জামান মুন্না জানায়, দুই বছর আগে ক্রিকেট খেলা দেখা নিয়ে তার মা বকাঝকা করেন। ‘তোর মুখ আমি দেখতি চাইনে, তুই বাড়ি থাকলি আমার মরা মুখ দেখবি’ মায়ের এমন কথায় অভিমানে ঘর ছাড়েন মুন্না।
তার ছোট ভাই যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্র আবদুল আহাদ জানান, মুন্না নিখোঁজের বিষয়ে তারা যখন থানায় জিডি করতে আসেন, তখন যা লিখতে চেয়েছিলেন, পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পুলিশ নিজ ইচ্ছামতো জিডি লিখেছে, যেখানে তার ভাইকে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।