মধুচন্দ্রিমা যাপনকারী যুগলদের জন্য বরাদ্দ থাকে এ রকম বিশেষ কক্ষ ও শয্যা। ইচ্ছা করলেই একই রাতে ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডে ঘুমাতে পারেন। আলপাইন পর্বত এলাকার ওই সরাইখানার অবস্থান ফরাসি-সুইস সীমান্তের লা কুর শহরে। সেখানে দুজনের থাকার একটি কক্ষ ভাড়া নিতে খরচ পড়ে ১০৭ মার্কিন ডলার।
সেখানে অতিথিরা নিতে পারেন দুই সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের স্বাদ। কারণ, হোটেলের রেস্তোরাঁটিতেও দুই ভাগ: ফরাসি রসনা আর সুইস রান্নার আয়োজনে সমৃদ্ধ। তাদের ওয়েবসাইটে আছে ‘দুটো দেশ একই বিছানায় ঘুমায় আর একই টেবিলে খায়’।
১৮৬০-এর দশকের শুরুতে এটির যাত্রা শুরু। দুই বছর পর আলপাইন এলাকার সীমানা পুননির্ধারণের জন্য ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড একটি চুক্তি সম্পাদন করে। কিন্তু চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী এম পন্থুস এমন জায়গায় একটি দোকান বসিয়ে দেন, যা নতুন সীমান্তের ঠিক মাঝ বরাবর পড়ে যায়। পন্থুস আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। এটি ১৯২১ সালে কিনে নেন স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী জুল-জ্যঁ আরবেজ। তারপর নিজ নামে হোটেল ব্যবসা খুলে বসেন।
এখন সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স দুই দেশই শেনজেন চুক্তির আওতায় থাকায় পর্যটকেরা ভিসা-পাসপোর্ট না দেখিয়েও অনায়াসে দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন, হোটেল আরবেজেও।