যেভাবে চলছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র সংখা প্রায় ৫ লাখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। প্রায় ১০০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হাতেগোনা ১৫-২০টির পড়াশোনার মান ভালো। কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিভিজুয়াল বিষয় এবং পড়াশোনার দিক দিয়ে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া করে। তিন দফা সময় বেঁধে দেয়ার পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে গেছে মাত্র ১৬টি। বাকী ৭৪টি-ই রয়ে গেছে ভাড়া বাড়িতে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি আবারও নোটিশ দিয়েছে। একই সাথে নেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
দেশে অনুমোদিত ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চালু আছে ৮০টি। এগুলোর মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস আছে মাত্র ১৬টির। বাকি ৭৪টিই চলছে আবাসিক অথবা বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া করে।
এটি ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভবন। প্রথম দেখাতে শপিং মলও মনে হতে পারে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি এটি। আইন অম্যান্য করার কথা স্বীকার করে, উপাচার্য দেখাচ্ছেন জমি নিয়ে জটিলতার অজুহাত।
২০১০ সালে আইন হওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় বেধে দেয় ইউজিসি। ২০১২-১৩ ও ১৫ সালে তিনবার সময় বেধে দেয়া হলেও তা আমলে নেয়নি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়।
আইন অম্যান্য করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে ইউজিসির চেয়ারম্যান।
চলতি মাসেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক দল পাঠানো হবে বলে, জানিয়েছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।