যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুলেনকে আটকের জন্য তুরস্কের আবেদন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ইসলামি চিন্তাবিদ ফেতুল্লাহ গুলেনকে গ্রেফতার করতে মার্কিন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন তুর্কি তদন্তকারীরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু-র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তির সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইস্তামবুলের চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর-এর দফতর জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে, গুলেনের আদেশেই তুরস্কে ক্যু চেষ্টা চালানো হয়, আর তাই তারা মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এক চিঠিতে গুলেনকে গ্রেফতার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
তুরস্কের বিচার মন্ত্রণালয় থেকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, গুলেনের বিরুদ্ধে সরকার উচ্ছেদ করার চেষ্টাসহ ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুরস্ক সফরের ঘোষণার পর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানানো হয়। তুরস্কে ক্যু চেষ্টার পর জো বাইডেনই প্রথম পশ্চিমা নেতা, যিনি দেশটি সফর করছেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন ২৪ আগস্ট তুরস্ক সফরে আসছেন। মার্কিন বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ২২ আগস্ট তুরস্কে আসবেন বলে জানা গেছে।
তুরস্ক সরকারের আচরণকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে মন্তব্য করেছেন ফেতুল্লাহ গুলেন। তিনি আগে থেকেই দাবি করে আসছেন, তুরস্কের ক্যু চেষ্টায় তার কোনো হাত নেই।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের শাসনভার নেয়ার দাবি করে, যা দেশটির টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে এবং কারফিউ ও সামরিক আইন জারি থাকবে। একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাধান্য পাবে। কারফিউর বিরোধিতা করে এরদোয়ানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা।