মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুছা ভারতে গ্রেফতার!
নিউজ ডেস্ক ::
এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদ খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং চট্টগ্রাম পুলিশের সোর্স মুছা ভারতে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. মনিরুজ্জামান। তাকে এক মাস আগে কলকাতায় গ্রেফতার করা হয় এবং দমদম কারাগারে রাখা হয়েছে।
এআইজি বলেন, ‘মুছাকে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে তিন সদস্যের একটি দল কলকাতা গেছেন।’ ভারতেও তার নামে একটি মামলা রয়েছে ব লে জানা গেছে।
কলকাতায় মুছা নামে একজন গ্রেফতার হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুছা কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মিতু হত্যা পরপর পুলিশর বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, মুছা পুলিশের কাছেই আটক আছে। কিন্তু পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুছাকে ধরার চেষ্টা চলছে। ওই সময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুছাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। সে ছাড়াও অন্য যে ৫ জনের নাম এসেছে তারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে দেশের সব বিমান ও স্থল বন্দরে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ওই সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুছা ২০০০ সালে সৌদি আরব যায়। তবে একই বছর আবার দেশে ফিরে আসে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির স্থানীয় ক্যাডারদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডারদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তোলে।
স্থানীয় গুণ্ডাপাণ্ডাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে হাটহাজারী সার্কেলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহাঙ্গীর মাতুব্বর তাকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করেন। সেখানে এএসপি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর বাবুল আকতারের সঙ্গেও কাজ করে মুছা।
এছাড়া রাঙ্গুনিয়ার জসিম বাহিনীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মুছার। স্থানীয়রা জানান, এক-এগারোর সময় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুছা অগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়। তবে ওই সময় তার নামে থানায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
২০০৮ সালের পর মুছা চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে। চট্টগ্রামে এহতেশামুল হক ভোলার (মিতুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার) সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু করে। সোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে তার সম্পর্কও বজায় ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এই ঘটনায় বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আকতার।