আইনজীবীকে ডেকে অপমান, প্রতিবাদে আদালত বর্জন
নিউজ ডেস্ক: শরীয়তপুরে মামলার সিলমোহর নকল নিয়ে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার সংবাদ আদালত পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতি জরুরী সভা ডেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। আর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ দাবী করে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্তও গৃহিত হয় জরুরী সভা থেকে।
শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরী সভায় আইনজীবীগন মতামত প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল হক শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় বিচারক। এর পূর্বে শফিকুর রহমান ও সুলতান মাহমুদ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছে এবং তারা আসামি ও বাদী পক্ষদের আইনি সহায়তা করেছেন।
কিন্তু বর্তমান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামি ও বাদী পক্ষদের আইনি সহায়তা প্রদান করেন না। তিনি আইনজীবীদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আজ পরিকল্পিত ভাবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার খাস কামরায় অপমান করে। তারা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ দাবী করছে।
যে মামলার বিবাদী পক্ষ নকল না পেয়ে হয়রাণী হয়েছে তার চাচা গিয়াস উদ্দিন মোল্যা বলেন, ‘আমার ভাতিজা সংগ্রাম মোল্যা কাওছারের সাথে মাদক মামলায় জড়িয়ে পড়ে। নিন্ম আদালত জামিন না মঞ্জুর করায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সইমোহর নকল চাই। ১৫ দিন যাবৎ নকল দেই দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করে। আজ সেই বিষয়ে কথা বলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনজীবী এডভোকেট জহিরুল ইসলামকে অপমান করেছে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষনিক সভা ডেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি চীফ জুডিশিয়ালের অপসারণ না করা হলে তার আদালতে কেউ যাবে না। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়েও চিঠি প্রেরণ করা হবে।’