বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি সব বিভাগীয় শাখা অফিসেও নতুন টাকা বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মতিঝিল অফিসে দুটি কাউন্টার এবং বিভাগীয় শাখা অফিসে একটি কাউন্টার খোলা হবে। পাশাপাশি রাজধানিতে ১৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মৌসুমী ব্যবসায়ী ও দালাল রুখতে এবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাতিঝিল অফিসে নতুন টাকা বিনিময়ে ডিজিটাল ডিসপ্লের ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর কুপনের সিরিয়ালে টাকা সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, নতুন-পুরনো মিলে ৩০ হাজার কোটি টাকার নোট সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে নতুন নোট রয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এবার ছোট মূল্যমানের নোটের মধ্যে ৫০ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫ হাজার টাকা, ২০ টাকার ১ প্যাকেট বা ২ হাজার টাকা ও ১০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০০০ টাকা নেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। আর বড় মূল্যমানের নোটের মধ্যে ১০০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০ হাজার টাকা, ৫০০ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫০ হাজার টাকা ও ১০০০ হাজার টাকার ১ প্যাকট বা ১ লাখ টাকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন নতুন নোট প্রত্যাশীরা। তবে চাহিদা কম থাকায় এবার ২ ও ৫ টাকার নোট বিনিময়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে না।
রাজধানিতে যেসব শাখায় ছোট মূল্যমানের নতুন নোট পাওয়া যাবে সেগুলো হলো ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, জনতা ব্যাংকের আবদুল গণি রোড শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা। এবার যেসব শাখায় বড় মূল্যমানের নোট বিনিময় হবে সেগুলো হলো মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা ও রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা।