‘আপাতত ঢামেকের মর্গেই থাকছে ১৩ জঙ্গির মৃতদেহ’
নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ ১৩ জঙ্গির লাশ মর্গে রাখতে না চাইলেও পুলিশ সেখানেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রুপনগরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানে নিহত ১৩ জঙ্গি সদস্যর মৃতদেহের ডিএনএসহ সকল পরীক্ষা শেষ ও রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ঢামেকেই থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
নিহত ১৩ জঙ্গির মধ্য যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃতদেহ চাওয়া হয়নি। এছাড়াও কয়েক জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। যে কারণে ঢামেক কর্তৃপক্ষ স্থান সংকুলান না হওয়ার কথা বলে সেখানে থাকা ১৩ মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায়।
এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রােপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যাণ্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, এখনও কিছু কাজ বাকি, তাই আপাতত সেখানেই রাখা হবে জঙ্গিদের লাশ।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ঢামেক অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল খান ডিএমপি কমিশনার এবং শাহবাগ থানাকে মৃতদেহগুলো সরিয়ে নিতে (ডিসপোজ) করতে চিঠি দেন। গত ২৮ তারিখে স্বাক্ষর করা একটি চিঠি ২৯ আগস্ট পেয়েছেন ডিএমপি। এর আগে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ স্থান সংকুলান না হওয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে চিঠি দেন। এরপরই অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল খান বিষয়টি অবগত করে চিঠি দেন ডিএমপিকে।
উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মিরপুরের রুপনগরে নিহত মোট ১৩ জঙ্গি এবং গুলশানের ৬ জঙ্গির মৃতদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ টেষ্ট করতে নমুনা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র গুলশানের ঘটনায় আমরা পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। ঢামেকে রাখা বাকি ১৩ মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। পরীক্ষা করার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ গুলি ঢামেক মর্গেই থাকবে।
তিনি বলেন, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রুপনগরের ঘটনায় নিহত ১৩ জঙ্গি ও গুলশানের ৫ জঙ্গিসহ ৬ মৃতদেহের পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানায়নি কিংবা চায়নি। তাই কেউ পরিচয় নিশ্চিত করে কিনা কিংবা মরদেহ চায় কিনা সেজন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।