মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী হতে চান হেলাল উদ্দিন
দেশ ব্যাপী জেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড়ের খবরে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদে কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪ ও ১৫ নং ব্লকে সাধারণ সদস্য পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতারা নিজ নিজ দলীয় আগ্রহী প্রার্থী হতে লড়েচড়ে বসেছেন। তারা দলীয় প্রার্থী হতে নিজ নিজ দলের নেতাদেও কাছে প্রার্তীতার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তার মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ব্লকে সাধারণ সদস্য পদে লড়তে চান কমলগঞ্জের এক সময়ের রাজপথ কাপাঁনে ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামীলীগ দলের নিবেদিত কর্মী,বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক,আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জের ১৪ নং ব্লকে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চান। হেলাল উদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। অধ্যক্ষ মোঃ হেলাল উদ্দিনের রয়েছে বর্নাঢ্য রাজনীতি জীবন। ৯০ দশকের সময়ের অন্যতম ছাত্র নেতা হিসাবে পরিচিত কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের দুইবারের সফল সভাপতি, যুবলীগের সহসভাপতি বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগে লীগের অন্যতম সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলার ( পৌরসভা, কমলগঞ্জ সদর, মাধবপুর, ইসলামপুর ও আদমপুর ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত ১৪ নং ব্লকে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে লড়তে চান। অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এর রাজনীতির সাথে স্কুল জীবনে জড়িত হন।
১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহনকারী মোঃ হেলাল উদ্দিন কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে এসএসসি পাশ করে কমলগঞ্জ গন মহাবিধ্যালয় ভর্তি হন। কমলগঞ্জ বহুমুখী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়ই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৪ সালে স্কুল ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পর ১৯৮৭ সালে কমলগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। কমলগঞ্জ গনমহাবিদ্যালয়ে থাকাকালীন নিজেকে একজন সক্রিয় ছাত্র নেতা হিসাবে প্রতিষ্টিত করতে সক্ষম হন। এ সময় কমলগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সদা হাস্যজ্জল এই ত্যাগী নেতা ৮৭ সালে এইচএসসি পাশ করে চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২৩ ব্যাচের ছাত্র মো. হেলাল উদ্দিন কমলগঞ্জে মফস্বল এলাকার সন্তান হিসাবে সেখানেও রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তিনি সমান তালে চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ছাত্র রাজনীতির একজন দক্ষ নেতা হিসাবে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেন।
পাশাপাশি বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ এর সাথে ওতোপতিভাবে জড়িত থাকেন। হেলাল উদ্দিন ১৯৯০ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের সৌরওয়াদী হলের দপ্তর সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালে বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সহসম্প্দাক পদে আসীন হন। ১৯৯১ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলায় তরণদেরকে এক করে ছাত্রলীগের পতাকার তলে ভিড়ান। তিনি তৎকালীন সময়ে তুখোড় ছাত্র নেতার পদবী লাভ করেন। পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা হিসাবে কমলগঞ্জে ছাত্রলীগে একটি মজবুত সংগঠনে পরিনত করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৪ সালেও দ্বিতীয় বারের মতো উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার দুই আমলেই ছিল কমলগঞ্জের ছাত্রলীগের স্বর্ণযুগ। তিনি একমাত্র ছাত্রনেতা যিনি ছাত্রলীগ হয়েও ১৯৯৪ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে কনিষ্টতম সদস্য হিসাবে স্থান করে নেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আন্দোলন সংগ্রামে তিনি রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন সব সময়।
১৯৯৬ সালে উপজেলা যুবলীগের কমিটিতে সহসভাপতি পদে ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয় হতে ইতিহাস বিভাগে অনার্স(বিএ,সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সংগঠক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে কমলগঞ্জ যুব সংঘের সম্পাদক, বাংলার মুখ নামক সংগঠনের সভাপতি, ধলাই খেলাঘর আসরের সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষানুরাগী মো. হেলাল উদ্দিন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পরিচিত ছিলেন। ৯৬ সালে দেশব্যাপী স্বাধীনতার রজয়জন্তি উদযাপন কমিটির কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একজন সংবাদকর্মীও বটে। ১৯৯৭ সালে সাপ্তাহিক ধলাই নামক একটি পত্রিকা বের করেন। পত্রিকাটির সস্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে ৭/৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০০৬ সালে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। সারা দেশের ন্যায় কমলগঞ্জের ১৪০০ সাল উদযাপন করা হয়। সেই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন। কমলগঞ্জে নারী শিক্ষার বিকাশে প্রতিষ্টিত আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের প্রতিষ্টাকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে ২০০০ সালে যোগদান করেন।
কমলগঞ্জে সফল ভাবে অনুষ্টিত ২০১১ ও ২০১৩ সালে চীফ হুইপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে হেলাল উদ্দিন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তিনি ২০০৭ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধরাণ সম্পাদক নির্বাচন হন। বর্তমানে তিনি সে দায়িত্ব আছেন। এছাড়াও তিনি নিজ মায়ের নামে প্রতিষ্টিত আম্বিয়া কেজি স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য। দীর্ঘ এই রাজনীতিক জীবনে উত্থান পতন ঘটলেও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হিসাবে নিজেকে অটল রেখেছেন। সকল পেশার মানুষের সাথে তিনি কাজ করেন। আওয়ামীলীগ দলীয় উচ্চ পর্যায় হতে তৃনমুল নেতাকর্মীদের সাথে তার রয়েছে সর্ম্পক। কমলগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা মৌলভীবাজারের রাজনীতির অভিভাবক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপির সুদক্ষ পরিচালনায় ও বর্তমান উপজেলা কমিটির সফল নেতৃত্বে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করতে তাদের সাথে আওয়ামীলীগের একজন সদস্য হিসাবে কাজ করে চলেছেন।
তিনি বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসাবে জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল নেতৃত্বে সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করেন। পরিচ্ছন্ন ও সদালাপি এই মানুষটি নিজেকে সবসময় একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে পরিচয় দিতে ভালবাসেন। রাজনীতিবিদ মো. হেলাল উদ্দিন আসন্ন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ১৪নং ব্লকে আওয়ামলীগ দলীয় প্রার্থী ুিহসাবে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান। তিনি বলেন, দলীয় নেতৃৃবন্দ যদি মনে করেন আমি যোগ্য তাহলে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি সদস্য পদে প্রার্থী হবো। আশা করি আমার রাজনীতিক অভিভাবকরা আমার বিষয়টি ভেবে দেখবেন। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।