ফ্রান্সে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে সাংবাদিক মামুন মারাত্মক আহত :: নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসীরা
ফ্রান্স প্রতিনিধি:: প্রবাসের প্রহর সম্পাদক, প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব এবং অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব ( আয়েবা পিসি)র অন্যতম সদস্য আবুল কালাম মামুন মঙ্গলবার রাতে পেশাগত কাজ শেষে বাসায় ফিরার পথে ছিনতাইকারীদের আক্রমনে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দীর্ঘদিন থেকে শিল্প সাহিত্যের দেশ ফ্রান্সের ফ্যাশন সিটি খ্যাত প্যারিসে মোবাইল ছিনতাইকারীর শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। এসকল সন্ত্রাসীরা মোবাইল বা মানিব্যাগ জোরপূর্বক ভাবে ছিনতাই করে ক্লান্ত থাকেনা উপর্যুপরিভাবে শরীরে আঘাত করে প্রতিনিয়ত আহত করছে প্রবাসীদেরকে । প্রশাসনের সহায়তা চাইলে শুধুমাত্র আশ্বাস এবং ফাইলবন্দী ছাড়া বাস্তবিক অর্থেই কিছুই মিলেনা বলে জানান অনেক ভুক্তভোগী।
প্যারিসের উপকণ্ঠে ইস্তা, সেনদেনিস, লা বুর্জে সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বার বার মোবাইল চোরদের হামলার শিকার হচ্ছেন নিরীহ ও পরিশ্রমী বাংলাদেশিরা। মূলত মধ্যরাতে কাজ থেকে বাসায় ফেরতের সময় এসকল সন্ত্রাসীর হামলার হচ্ছেন তারা।
প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনার স্বীকার কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি কমসারিয়াতে (পুলিশ স্টেশন) জিডি করতে পারলেও অধিকাংশ বাংলাদেশি বৈধ ভাবে থাকার অনুমতি না থাকায় আল্লাহ ভরসা বলেই নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন। এ পর্যন্ত অনেক নিরীহ বাংলাদেশী আহত হয়ে এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। প্যারিসে একশত এর চেয়ে অধিক সামাজিক সংগঠন ও বিশেষ ব্যক্তি থাকলেও মূলত এসকল সমস্যা দেখার বা ফ্রান্সের প্রশাসনের কাছে বলার কেউ নেই। কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতারা উন্নয়ন ও প্রবাসীদের অধিকার আদায়ের দোহাই দিলেও এসব ব্যাপারে নীরব ভূমিকায় আছেন।
গত মাসে এরকম প্রায় ১৫ টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার কাজ থেকে ফেরত হওয়ার সময় ল বুর্জে বাস স্টপে দাঁড়ানো অবস্থায় প্রবাসের প্রহর সম্পাদক, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাব এর সদস্য ও আয়েবাপিসি,র কার্যকরী কমিটির সদস্য সাংবাদিক আবুল কালাম মামুন হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে আছেন। এদিকে ফ্রান্স প্রবাসী চট্টগ্রামের রাউজানের সাঈদ হোসেন (সাঈদ) কর্মস্থল থেকে ফিরে আসার পথে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প্যারিসে এসব বিষয় নিয়ে অন্যান্য কমিউনিটি আন্দোলন করলেও বাংলাদেশী কমিউনিটি সম্পূর্ণ ঘুমন্ত। সাধারণ প্রবাসীদের বক্তব্য কমিউনিটির নেতারা ও সংগঠনগুলি যদি এসব বিষয়ে এগিয়ে না আসে তাহলে এসব সংগঠন ও নেতাদের কি দরকার ?