সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী ছাতকের ন্যান্সি-চিনু
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত-৫ আসনে থেকে ছাতকের সম্ভাব্য দু’ হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম চলছে সরব আলোচনা। উভয় প্রার্থীই প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। সম্ভাব্য এ দু’ প্রার্থীকে নিয়ে এখন থেকেই সর্বত্র বইছে আলোচনা ও সমোলোচনার ঝড়। তাঁরা প্রার্থী হলে লড়াইও হবে হাড্ডাহাড্ডি এমন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত-৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে একজন হচ্ছেন ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা আহমদ ন্যান্সি ও অপরজন হচ্ছেন মুজিবুর রহমান একাডেমীর পরিচালক ও শিক্ষক নুরুন্নাহার চৌধুরী চিনু। ব্যক্তিগত পরিচয় ছাড়াও উভয় প্রার্র্থীর পারিবারিক ও গোষ্ঠীগত আলাদা-আলাদা পরিচয় এবং ঐতিহ্য রয়েছে। সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা আহমদ ন্যান্সি শহরের বাগবাড়ি এলাকার এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ। তিনি ছাতক পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রজনু আহমদের সহধর্মিণী ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের স্বজন। নোয়ারই গ্রামের বিশিষ্ট বিচারিক ব্যক্তিত্ব হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যানের কন্যা। রাসিদা বেগম ন্যান্সি বিপুল ভোটে ভাইস নির্বাচিত হয়েছিলেন। শিক্ষিকা হিসেবেও তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। প্রার্থী হিসেবে সহজেই সকলের কাছে গ্রহযোগ্য হবে বলে তার সমর্থকরা মনে করছেন। প্রার্থিতা নিয়ে রাশিদা আহমদ ন্যান্সি জানান, নির্বাচন হচ্ছে এক ধরনের উৎসব। লুকিয়ে উৎসব পালন করার কোনো সুযোগ নেই। সময় হলেই বিষয়টি খোলাসা হবে।
অপর প্রার্থী হিসেবে যার নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন, মুজিবুর রহমান একাডেমীর পরিচালক ও শিক্ষক নুরুন্নাহার চৌধুরী চিনু। তিনি উপজেলা শ্রেষ্ঠ নারী সমাজকর্মী হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। মেসার্স ফউর ব্রাদার্স লিমিটেড ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন আরডেন স্টার লিমিটেডের পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ছাড়া পৈতৃক ও স্বামীর পারিবারিকভাবেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। নুরুন্নাহার চৌধুরী চিনু সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের একমাত্র বোন ও বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সহধর্মিণী।
এখন পর্যন্ত এ দু’জন ছাড়া আর কারো নাম শোনা যাচ্ছে না। জেলা পরিষদে এখানের নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এ দু’জনকে নিয়েই পৃথক স্বপ্ন দেখছেন স্ব স্ব কর্মী-সমর্থকরা। সুনাম-সাধারণ-১৩, ১৪ ও ১৫ ওয়ার্ডের ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে সুনাম-সংরক্ষিত-৫ আসন গঠিত। দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার, নরসিংপুর, দোয়ারাবাজার সদর, লক্ষ্মীপুর, বোগলাবাজার ও সুরমা ইউনিয়ন নিয়ে সুনাম-সাধারণ-১৩, ছাতক উপজেলার ছাতক পৌরসভা, ছাতক সদর, ইসলামপুর, নোয়ারাই, কালারুকা ও উত্তর খুরমা ইউনিয়ন নিয়ে সুনাম-সাধারণ-১৪ এবং একই উপজেলার সিংচাপইর, দক্ষিণ খুরমা, দোলারবাজার, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ ও ভাতগাঁও ইউনিয়ন নিয়ে সুনাম-সাধারণ-১৫ ওয়ার্ড গঠিত। ২শ’ ৪জন জন জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনাম-সংরক্ষিত-৫ আসনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।