একাত্তরের চেয়ে ভয়ংকর হামলা ঘটছে স্বাধীন দেশে: সুলতান মনসুর
স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজার-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, “আমার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারনায় নামলে পুলিশ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সম্মিলিত ভাবে হামলা চালায়। পুলিশের এ আচরণ মনে হয় ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর এ দেশের সাধারণ মানুষের উপর যে নির্মম ও বর্বর হামলা করেছিল তার চেয়ে ভয়ংকর হামলা ঘটছে এ স্বাধীন দেশের কুলাউড়ায়। অতিউৎসাহী পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সম্মিলীত এ হামলায় ধানের শীষের নেতা কর্মী ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। আতঙ্কে আমার কর্মী সমর্থকরা ঘর বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরোও বলেন, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতীক বরাদ্ধের দিন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচার কাজ সুষ্টু ভাবে চালাই। প্রতীক পাওয়ার পর আমার ধানের শীষের প্রতীক সহ লিফলেট বিতরণ ও পোষ্টার টাঙ্গাতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার শুরু করে কুলাউড়া থানার অতি উৎসাহী কতেক পুলিশ। কুলাউড়ার কতেক পুলিশ ক্রমশ বেপরুয়া হয়ে উঠে। এই উৎসাহী পুলিশের সহযোগীতায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আমার নির্বাচনী সভা ম ভাংচুর, আমার সমর্থকদের উপর হামলা, গণসংযোগে বাঁধা দেয়। গায়বি মামলা সহ নতুন করে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় এ পর্যন্ত ধানের শীষের ৬ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। চলমান বিভিন্ন পরিকল্পিত ও মিথ্যা মামলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থককে আসামী করা হয়েছে।”
সুলতান মনসুর আরোও বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকায় ঘটে যাওয় সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে কোন সু-ফল এখনও পাইনি।”