সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রিয় নেতা জাকের আহমদ (অপু)
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র জাকের আহমদ (অপু) পর্যায়ক্রমে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্সে ১ম মেধা তালিকায় ভর্তি হয়ে রেগুলার ছাত্র হিসাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই যে কোন সমস্যায় তার কাছে যেতে পারেন বিনা বাঁধায়, নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায়। তিনি অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ ও নিজে বহন করে যাচ্ছেন মানবিক এই ছাত্রনেতা।
গুণাবলী ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার কারণে তিনি আজ সর্বমহলে প্রশংসিত। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে কাজ করে গেছেন। ২০১৮ সালের রমজান মাসে দ্বৈত ভর্তির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জরিমানা বাতিলের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলার সব কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল মিছিল হয়। যা ছিল বাংলাদেশের মধ্যে জরিমানা মওকুফ করার প্রথম আন্দোলন এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জরিমানার টাকা মওকুফ করে।
এছাড়াও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ ৮ দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তার উত্থাপিত ৮ দফা দাবির মধ্যে ৫ দফা বাস্তবায়িত হয়েছে।
বাস্তবায়িত ৫ দফা দাবি সমূহ:
১. বিপ্লবী লীলা নাগ হলের কাজ সম্পূর্ণ।
২. স্বতন্ত্র পরীক্ষা হল নির্মাণ।
৩. সরকার কর্তৃক ৬ তলা ভবন গ্রান্ট ।
৪. চারটি পৃথক টয়লেট স্থাপন কাজ সম্পূর্ণ।
৫. অনার্স মাস্টার্স আসন বৃদ্ধি হয়েছে এবং নতুন বিভাগ ও অন্যান্য বিষয়ে মাস্টার্স চালু প্রক্রিয়াদিন।
এছাড়াও কলেজের নিরাপত্তার স্বার্থে মানববন্ধনে অভ্যন্তরীণ দাবির মধ্যে তিনি কলেজ প্রশাসনের কাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানান, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। গত কিছুদিন আগে ২০ হাজার টাকা খরচ করে নিজস্ব অর্থায়নে কলেজকে ক্লিন ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে ডাস্টবিন উপহার দেন এবং গ্রীন ক্যাম্পাস এর জন্য বৃক্ষ রোপন করেন।
এছাড়াও কলেজে মানবতার দেয়াল স্থাপন করেন যা থেকে অনেক গরীব শিক্ষার্থীরা এবং সুবিধাভোগীরা উপকার পাচ্ছে। জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার কারণ:
১। ছাত্র ছাত্রীদের ও সাধারণ মানুষের যেকোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়ান নিঃস্বার্থে।
২। মানবতার কাজে সর্বদা নিয়োজিত।
৩। স্পষ্টবাদী সুবক্তা, ও সাধারণ মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে আপন করে নেওয়ার দক্ষতা।
৪। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত ভর্তি নামে অতিরিক্ত জরিমানার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় জরিমানার টাকা মওকুফ করে।
৫। মেধাবী, তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্সে ভর্তি হন ১ম মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে । এসব কারনে তিনি জেলার সর্বোচ্চ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
এমনকি বিগত কোন সময়েই ক্যাম্পাসে তিনি কোন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হননি। জাকের আহমদ (অপু), প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান বংশপরম্পরায় তার শরীরে আওয়ামীলীগের রক্ত বিদ্যমান। তার দাদা মরহুম আব্দুল লাতিফ ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। নানা শহীদ সিরাজুল ইসলাম (কলমদর মিয়া) ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জন্য কাজ করায় এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের রসদ সরবরাহ করায় জীবন দিয়েছেন।
উনাকে শহরের চাঁদনী ঘাট ব্রিজের উপর সবাইকে মাইকিং করে এনে, প্রদর্শনী করে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে মনু নদীতে ফেলে দেয় পাকবাহিনী, রাজাকারদের প্ররোচনায়। তার বড় ভাই মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জুবায়ের আহমদ (তপু)। আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের (ভি.পি) নির্বাচিত হয়ে সবার পাশে থাকতে চান। এজন্য তিনি আওয়ামী পরিবারের সবার এবং ছাত্র ছাত্রীদের দোয়া-সমর্থন ও ভালবাসা চেয়েছেন।