দাপুটে ভারতীয় ‘সারারা-গারারা’
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
এবার মৌলভীবাজারের ঈদের বাজার বরাবরই দাপুটে ভারতীয় পণ্য। তরুণীদের আকর্ষণীয় পোশাকের তালিকায় রয়েছে বোম্বের সারারা, গারারা ড্রেস। এগুলো কিনতে শেষ সময়েই জমে উঠেছে এখানের ঈদ বাজার।
মৌলভীবাজার জেলা শহরের সব শপিং মলে নারী, পুরুষের কিংবা শিশুর উপচে পড়া ভিড়। সবাই ঈদের কেনাকাটা ব্যাস্ত। এবারের বাজারে রয়েছে বিদেশী ব্যান্ডের ব্যতিক্রমী আকর্ষণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার চৌমোহনা থেকে কুসুমবাগ সাইফুর রহমান রোড সকল শপিং মহলগুলোতে ভিড়। এক জায়গায় সব কেনাকাটা করতে সবচেয়ে পছেন্দের শপিং মহলগুলোর মধ্যে রয়েছে এম.বি ও বিলাস। বছর জুড়েই এখানে ক্রেতাদের সর্ব সময় ভিড় বৃদ্ধমান। ঈদের সময় প্রতিবার ঈদের কেনাকাটায় আরও জমজমাট হয়ে ওঠে এই শপিং মহলগুলো।
জানা যায়, এবারের কালেকশনে মেয়েদের ড্রেসের মধ্যে সারারা, বেলবেট, গারারা, নজর, উপামি, বেসিদা, রাজকুমারী নামের পোষাক গুলো আকর্ষণীয়। সারার একটির দাম ২০ হাজার ৭৫০টাকা। বেলবেট ১২হাজার আর গারার দাম সাড়ে ১৮ হাজার। এগুলো ভারতীয় বোম্বের পণ্য। রাউন্ডে ড্রেস একটার দাম পড়েছে সাড়ে ৩৬ হাজার। এছাড়াও ২ থেকে ৪ হাজার টাকার ভিতর রয়েছে ক্রপ টপ ও লেহেঙ্গা ড্রেস। শাড়ির মধ্যে মুঙ্গাই, ডুলা, টিস্যু, মসলিন, নেট, ও কাশ্মেরী বেশ আকর্ষণীয়। এগুলোর দাম ৩০ হাজার থেকে ২ হাজার পর্যন্ত।
ছেলেদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় শার্ট, পেন্ট ও পাঞ্জাবী কালেকশন। একেকটি শার্ট ৫হাজার থেকে শুরু করে ১২টাকা পর্যন্ত দাম। কটন ফ্রেব্রিক্স, কটন সিল্ক, তসর লিলেনের পাঞ্জারি বেশি চলছে। এগুলো দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জুতার বাজারে রয়েছে নামী-দামি রয়েল ও কুবরার ব্রান্ডর জুতা। এগুলোর মূল্য ৩৫শ থেকে ১ হাজারের ভিতরে। এছাড়াও রয়েছে কসমেটিক্সের বিশাল সম্ভার।
নাদিয়া নামের ক্রেতা দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন এমবি শপিং মহলে। তিনি বলেন, আসলে কালেকশনগুলো ঘুরে দেখতে এসেছি। এখানে অনেক দাম, তবে ভালো কালেকশন আছে। ক্রেতা রাহুল বলেন, শার্ট ও পাঞ্জাবী সব দেখছেন। পছন্দ হলে কিনবেন। এবার দামটা বেড়েছে।
এদিকে বড় বিপণী ছাড়াও ছোট ও মাঝারি গুলোতেও ভিড় রয়েছে। এগুলোতে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন। শহরের সাইফুর রহমান রোড ও সেন্ট্রাল রোড জুড়েই এই দোকান গুলো। এখানের দোকানীরাও নিজেদের কখনও অবসর করতে পারছেন না শেষ সময়ে। দোকানের তুলনায় মানুষ থাকলেও ঈদের বাজারের জন্য আরও লোক প্রয়োজন আছে বলে জানান দোকানীরা।
বিত্তবানের জন্য বড় দোকান থাকলেও দরিদ্র লোকদের ঈদের বাজারের জন্য রয়েছে ফুটপাতের হকার। তাদের চাহিদা অনুযায়ী রয়েছ বিভিন্ন ধরনের কাপড়। সোনালী ব্যাংকের অপর পাশে রয়েছে বিশাল হকার বাহিনী। দরিদ্র মানুষের ঈদের বাজারের শেষ ঠিকানা এইসব হকারী। এখানেও পা রাখার জায়গা নেই নারী-পুরুষদের এত ভিড় যে অনেক সময় সাথে থাকা বাচ্চারাও হাত থেকে হারিয়ে যায়।