আথানগিরিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে পিতৃহীন এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীরা হলেন- একই এলাকার ৩ সন্তানের জনক ওয়াতির আলীর ছেলে জাহিদ মিয়া (৩০) ও মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে খুরশেদ মিয়ার ভাইস্তা রাব্বি মিয়া (২৮)। ভিকটিম আথানগিরি একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
ধর্ষিতার মা সিলেটভিউকে বলেন, “গত শনিবার কিশোরিকে দাদীর কাছে রেখে আত্মিয়ের বাড়ীতে রোগী দেখতে যান, সে দিন গভীর রাতে দাদী পাশে ঘুমিয়েছিলেন এই কিশোরী। এ সময় ধর্ষক জাহিদ মিয়া ও খুরশেদ মিয়ার ভাইস্তাা রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দাদী এবং কিশোরীকে বেধে ফেলে। পরে ঊঠানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। এসময় কিশোরী চিৎকার করতে চাইলে তার মুখে শক্ত কিছু একটা দিয়ে ডেকে রাখে এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়”।
কিশোরীর মা আরোও জানান, “সারারাত মেয়ের শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে। ভোর রাতে যখন তার জ্ঞান ফিরে সে ঘরে এসে দাদীর বাধন খোলে দেয়, পরে আমাকে কল দেয়। আমার সোনা ময়না কিভাবে যে বেঁচে গেছে আল্লাহই জানেন। এই কুলাঙ্গারগুলা আমার কলিজার টুকরাকে এত কষ্ট দিল তা যেনো আল্লাহ দেখেন। আমি এর কঠিন বিচার চাই”।
বর্তমানে ওই কিশোরী মৌলভীবাজার ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন জানান, মেয়েটি ঘটনার দিন থেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, “খুবই খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে, আমরা আসামীকে ধরতে সব ধরণের প্রচেষ্ঠা করতেছি”।
স্থানীয় সূত্রে আরোও জানা যায়, আসামী রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালি ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষিতা মেয়ের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণ নাশের পর্যন্ত হুমকি দেয়া হচ্ছে।