চাদঁনীঘাটে ইভটিজিং, প্রতিরোধের আশ্বাস দিলো বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি
কে.বি. খাঁন বিজয় ::
বাস নিয়ে সমস্যা। বাসের ড্রাইবার হেল্পার খারাপ আচরন করছে। ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছেন মেয়েরা! এমনটাই মনে করছেন মৌলভীবাজারের চাদঁনীঘাট কুলাউরা বাস-মিনিবাস ইউনিয়ন মালিক সমিতি।
রবিবার সকালে দৈনিক মৌলভীবাজারের প্রতিবেদককে সমিতির নেতৃবৃন্দ ইভটিজিং প্রতিরোধের আশ্বাস দেন। সেই সাথে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়া প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা বলেন- যোগাযোগ করোন বা নাম্বার মেবাইলে সেইভ করে রাখুন মাত্র ৫ মিনিটের ভেতরে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। তবে হে অভিযোগ করতে হবে সাথে সাথেই কল করলেই তারা রিসিভ করবেন।
অভিযোগের নাম্বর-–ও কুলাউরা বাস-মিনিবাস ইউনিয়ন মালিক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ রোপন (01714769434) ও জেনারেল ম্যানেজার এম.বি খালেদ ( 01718081993)।
এ ব্যাপারে তারা বলেন- হ্যা আমরা নিয়মিত অভিযোগ পাই এবং আমরা সাথে সাথেই কঠোর পদক্ষেপ নেই। এখন সব মেয়ে বা ছেলেরা জানেনা যে আমাদের এখানে অফিস আছে। তাই হয়ত তারাও অভিযোগ করতে পারেনা আমরাও খবর পাইনা। আর খবর পেলে বা কেউ অভিযোগ করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করি।
এবিষয়ে সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ রোপন বলেন- গত কয়েকদিন আগেই একটি মেয়ে সাহস করে আমাদের কাছে এসেছিলো আমরা সাথে সাথেই অপরাধি কে ডেকে এনে বেধেঁ মারধর করি। অনেক সময় মারধর করার পর পরে বাধ্য হয়ে মেয়ের মা বলেন থাক অনেক মারছেন আমি বিচার পেয়ে গেছি আর মাইরেন না। তার অপরাধ ছিলো মেয়েটার গায়ে হাত দেওয়া তার সাথে অশ্লিল ভাষায় কথা বলা। এভাবেই আমরা সাথে সাথেই প্রতিটা পদক্ষেপ নেই।
জেনারেল ম্যানেজার এম.বি খালেদ বলেন, যদি কারো পক্ষে সম্ভব হয় বাস/মিনিবাস এর নাম্বার লিখে রাখবেন। আমরা বের করে আপনাদের সামনে হাজির করবো। আপনি যেভাবে চান বিচার করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমি এবং আমার সহপাঠীরা আমরা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে পড়ি। মুন্সিগন্জে থাকি আমরা। সে ক্ষেত্রে চাঁদনীঘাট ব্রীজ হয়েই আমাদের আসতে হয়। আমরা বাড়ি থেকে যখন চাঁদনীঘাট এসে সিএনজি করে নামি তখন অনেক সময় দাড়িয়ে থেকে আমাদের অটোরিক্সা চাইতে হয়। তখন আমাদের দাড়িয়ে থেকে সেখানে থাকা অনেক ড্রাইবারদের কাছ থেকে ইভটিজিং / অশ্লিল কথাবার্তার শিকার হতে হয়।
তিনি আরোও বলেন- অনেক ড্রাইবারেরা আমাদের শরিরের সাথে ঘেষাঘেষি করার চেষ্টা করেন। মাঝে মধ্যে সেখানের কিছু বকাটে যুবকেরা আমাদের এভাবেই মানসিক/শারিরিক টর্চার করে। কিছু ড্রাইবারদের গাড়ি ভাড়া দিতে গেলে বলে আপনার ভাড়া লাগবেনা আপনার ফোন নাম্বার দেন আপনাকে আমার ভালো লাগে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের দাবী নিজের প্রানের শহরে আর এইসব চলবেনা। যদি কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয় তাহলে অবশ্যই দোষীরা বিচার পাবেন।