মনু রক্ষা প্রকল্প পাস হলে নদী ভাঙ্গন বন্ধ হবে- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক বলেছেন, “মনু নদীতে ১২৭ মিটারের গাইড ওয়াল নির্মাণ হয়েছে। এটি নির্মিত হলে বন্যার সময় শহর প্লাবিত হবে না। একই সাথে মনু নদী রক্ষা প্রকল্পের জন্য নতুন করে ১ হাজার ২ কোটি টাকার বাজেট একনেকে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্প পাস হলে বন্যার সময় আর মৌলভীবাজারে নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর বিলিন হবে না।”
শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসন ও মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে চাল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াই। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন তোমরা বন্যা কবলিত এলাকায় যাও এবং যা যা করা দরকার তা তোমরা কর।
তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে আরও বলেন, ১০ বছর আগে কেমন ছিলেন আপনারা। তার থেকে ভালো থাকবেন। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ৫৭টি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তার মধ্যে বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাশের পরিচালনায় চাল বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ সহ জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার মনু নদীর তীর সংলগ্ন দূর্যোগ কবলিত এলাকা ও পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রী এসময় মৌলভীবাজার মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকার গাইড ওয়াল পরিদর্শন করেন। এর আগে মন্ত্রী কদমহাটা এলাকায় মনু নদীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।