মৌলভীবাজারে ইভটিজারদের রুখতে কঠোর হুশিয়ারী
কেএইচ শাওন ::
মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে লাঞ্চিতকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষাথীবৃন্দ। এসময় বক্তারা কঠোর হুশিয়ারি দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, “সুমাইয়া আক্তারের লাঞ্চিতকারী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আর যেন কাউকে এমন করুণ লাঞ্চিনার মুখোমুখি হতে না হয়। এ ঘটনার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই”।
বুধবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ করে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব মোড় পযর্ন্ত পথ র্যালি হয়।
সমাবেশে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুবিনয় রায় শুভর সঞ্চালনয় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মৌলভীবাজার জেলা সাধারন সম্পাদক মীর ইউসুফ আলী। মানববন্ধন মৌলভীবাজার বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী উপন্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সুমাইয়া আক্তারের লাঞ্চিতকারী অভিযুক্ত সালাম শাস্তির দাবি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্দশ্যে মীর ইউসুফ আলী বলেন, “এ ঘটনার সর্বচ্চো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তা অন্যদের প্রতি একটি ম্যাসজে হয় এবং কেউ যাতে এ ধরণরে ঘটনা ঘটানোর আগে তার বুকটা কাঁপে। মৌলভীবাজারের অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্টানের আমাদের বোনদের যেন এমন হয়রানি ও নিযার্তন শিকার হতে না হয়। সুষ্ঠু বিচার না হলে এ ধরণরে ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে”।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সুমাইয়ার বাবা লুৎফুর রহমান, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুমন কান্ত দাশ, ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সভাপতি রেহনুমা রুবাইয়াৎ, কলেজ সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পিনাক দেব, ক্রিড়া সম্পাদক ফাহিম চৌধূরী, কলেজের ছাত্রী রোকেয়া আক্তার বৃষ্টি ও ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সদর উপজলোর ১১নং মোস্তফাপুর ইউনয়িনরে জগৎন্নাথপুর গ্রামের সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে পটিেিয় আহত করে সালাম নামের এক যুবক।শনবিার (২০ জুলাই) দুপুরে শহররে বেড়িপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া জগন্নাথপুর গ্রামেরে লুৎপুর রহমানের মেয়ে উত্যক্তকারী সালাম একই গ্রামের আজিম মিয়ার ছেলে।
সুমাইয়ার বাবা লুৎফুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সালাম নামরে এক বখাটে জোরর্পূবক একটি প্রাইভেটকারে ওঠার জন্য জোড় করে । তখন সে বাধা দয়ে সে সময় সুমাইয়াকে মারদর করে আহত করে । পরে সে চিৎকার করলে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সুমাইয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।