হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারেও কোরবানীর পশুর বিশাল ঘাটতি
কে এইচ শাওন::
মৌলভীবাজারে চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু আছে কম। ফলে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা মেটাতে অন্য জেলাগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলক বেশি দামে কোরবানির পশু কিনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান ¬জানান, এবছর কোরবানির সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে ৮২ হাজার ৯৬৪ টি। মজুদ আছে ৬৪ হাজার ৮২২টি। সেই হিসেব ঘাটতি রয়েছে ১৮ হাজার ১৪২টি।
এর মধ্যে সম্ভাব্য গরু/মহিষের চাহিদা রয়েছে ৫৯ হাজার ৯৪৯টি। আর মজুদ আছে ৪৮ হাজার ২৬২টি। এর ঘাটতি আছে ১১ হাজার ৬৮৮টি। ছাগল ও ভেড়ার সম্ভাব্য চাহিদা আছে ২৩ হাজার ১৫টি। কিন্তু মজুদ আছে মাত্র ১৬ হাজার ৫৬১টি। সেই হিসেবে ঘাটতি ৬হাজার ৪৫৪টি।
সংশ্লীষ্টরা বলছেন, ওই ঘাটতি পূরণ হয় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা গবাদিপশু দিয়ে। ফলে কোরবানির সময় গবাদিপশুর ঘাটতি অন্য জেলার বাড়তি পশু দিয়ে পূরণ হয়।
এদিকে গত বছর জেলায় যে পরিমাণে গবাদিপশু পালন করা হয়েছিল, এ বছর তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। বন্যার করণে কৃষক গবাদিপশু পালনে আগ্রহ কমে যাছে। প্রতিবছর মৌলভীবাজার কোরবানির পশুর চাহিদা বাড়ছে।