চার জেলার ‘ক’ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভূক্তির আবেদন কারিদের যাচাই বাছাই

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অর্šÍভূক্তির আবেদনকারি ‘ক’ তালিকাভুক্ত ৩০৯ জন ব্যক্তির যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার ছিল মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা এবং হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, লাখাই, মাধবপুর, উপজেলার ১১৩ জন ‘ক’ তালিকাভুক্ত আবেদনকারীর যাচাই বাছাইয়। এর আগেরদিন সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট জেলার মহানগর, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানী বাজার, জকিগঞ্জ, গোলাপ গঞ্জ, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্বরপুর, ছাতক, দিরাই উপজেলার ১৯৬ জন ‘ক তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অর্ন্তভূক্তির আবেদনকারি ব্যক্তির যাচাই বাছাই করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি, জামুকার সদস্য ও জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড.মো.আব্দুস শহীদ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার মহা-পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহকারী পরিচালক সুলেমান কবির।
সিলেট বিভাগের যাচাই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে আমরা যারা মহান মুক্তিযোদ্ধ করেছিলাম। যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন অথবা তালিকাভুক্ত হয়েছেন তারা ব্যাতীত যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিভাগওয়ারী ইতিমধ্যে যাচাই বাছাই কাজ সম্পন্ন করেছে।
গত শুক্র ও শনিবার যাচাইবাছাই শেষে এসব আবেদনকারীর তথ্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খু যাচাইবাছাই করে ১০শতাংশ ব্যক্তির নাম চুড়ান্ত অর্ন্তভুক্তির জন্য আবেদনকারিদের তালিকা জামুকায় রিপোর্ট পেশ করা হবে। পরবর্তীতে জামুকা চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
তিনি বলেন,আমরা কারও দিকে তাকাইও নি। রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গিও দেখিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের জন্য যারা ত্যাগ তিতিক্ষা করেছে এবং যারা এখন জীবিত নয় তাদের পরিবার পরিজন যারা আছেন তাদেরও কথা শুনে যাচাই বাছাই করেছি।