সম্মেলনের ১৯ মাস পর কমিটি, অতপর কার্যক্রম স্থগিত!
স্পেশাল রিপোর্টার::
সম্মেলনের দীর্ঘ ১৯ মাস পর জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনার দুই দিনের মধ্যে অনিয়মের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় উক্ত কমিটির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।
তবে কোন অভিযোগে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি । সাথে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিঠি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মীর সাথে কথা করে জানা যায়, তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দ মত কমিটি বানানোর কারণে তারা কেদ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির পদবঞ্চিত একজন জানান, দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত আছি। কিন্তু কমিটি দেয়া হলো আমাদের বাদ দিয়ে। তৃনমূলের পরীক্ষিত কর্মীকে মূল্যায়ন করা হয়নি।
কলেজ ছাত্রলীগের করেকজন জানান, কোনদিন কলেজেও দেখা যায়নি, কিন্তু তাদের দেয়া হয় বড় পোস্টে। আমাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী (আমীন) জানান, আমি শুনেছি তবে এখনো চিঠি হাতে পাইনি । চিঠি দেখার পর বিস্তারিত বলতে পারব।
উল্লেখ্য গত বুধবার (১৩ নভেম্বর)মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১ বছরের জন্য ফয়ছল আহমদকে জুড়ী উপজেলা সভাপতি ও সাহাব উদ্দিন সাবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। উপজেলা কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শামসু, রাজীবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস সাজু, সাইদুর রহমান, নাসিম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এইচ মুন্না, নেওয়াজ শরীফ রাজু, আব্দুল মালিক, নাজমুল ইসলাম তুহিন, সদস্য হুমায়ুন রশিদ, গিয়াস উদ্দিন, কাওছার গনি রাফি, সোহান রসিদ ও ইমরান আহমদ আনোয়ার।
এদিকে কলেজ শাখায় এ আর সাজেদকে সভাপতি ও গৌতম দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি তাপস দাস, আশফাক আহমদ আদনান, শাকীর আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিয়ান মাহবুব, শেখ মুন্না, হাবিবুর রহমান জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল ইসলাম কানন, প্রকাশ গোয়ালা, হোসেন মোহাম্মদ শাহজান, কনক দাস, সদস্য প্রাণতোষ দাস ও আরিফ আহমদ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বছরের ১৩ এপ্রিল উপজেলা ও কলেজ শাখার সম্মেলনে অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনে তৎকালীন জেলা সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান রনি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষানা করেন। নতুন কমিটির নাম ঘোষনা ছাড়াই সম্মেলনের কাজ শেষ হয়। এর পর থেকে একেক মাস করে পার হয় ১৯ মাস। অবশেষে আজ ১৩ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাম ঘোষনা করা হয়।
দৈনিক মৌলভীবাজার/কাফি