২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এক ক্লাবে মাশরাফি-আশরাফুল
স্পোর্টস ডেস্ক: তারা এক শহরের ছেলে নন। মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল জেলার। আর কুমিল্লার ছেলে হলেও মোহাম্মদ আশরাফুলের বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়। তারপরও ক্রিকেটই তাদের বন্ধুত্বর মেলবন্ধন গড়ে দিয়েছে।
ক্রিকেটে হাতেখড়ি একসঙ্গে নয়। তারপরও তারা কৈশোর পার হতেই বন্ধু। শুধু বন্ধু বললে কম বলা হবে, বয়স ১৬ হতেই মাশরাফি আর আশরাফুল একজন আরেকজনের খুব কাছাকাছি চলে আসেন। সেটা সেই ২০ বছর আগে, ২০০০ সাল থেকেই।
আশরাফুল ম্যাচ গড়াপেটা বা পাতানো খেলায় জড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ-প্রেক্ষাপট গেছে পাল্টে। এখন তারা আর আগের মত হরিহর আত্মা নন। না হয়, এক সময়ের দুই প্রিয় বন্ধু মাশরাফি আর আশরাফুল এক বৃন্তে দুটি ফুল হয়ে থাকতেন।
সেই ২০০০ সালে তারা যখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সদস্য, তখন থেকেই বন্ধুত্ব। তারপর যুব দল (অনূর্ধ্ব- ১৯) হয়ে জাতীয় দলেও নাম লেখান প্রায় কাছাকাছি সময়ে। সেই থেকে মাশরাফি আর আশরাফুল খুব কাছের বন্ধু বনে যান।
জাতীয় দলে দীর্ঘদিন খেলেছেন একসঙ্গে। কিন্তু শুনে অবাক হবেন, এই দুই বন্ধু ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে কখনই এক সাথে এক ক্লাবে খেলেননি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের হয়ে খেললেও ক্রিকেটার হওয়ার পর তাদের ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে কোনো সময়ই এক ক্লাবের জার্সি পড়ে মাঠে নামা হয়নি।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার এক সময় মোহামেডান না হয় আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। ঐ দুই বড় ও জনপ্রিয় শিবিরেই তাদের দেখা হয়ে যেত। এক সঙ্গে ঢাকা লিগ খেলাও হতো। মাশরাফি আর আশরাফুলও আবাহনী আর মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন। তবে একসাথে নয়।
মাশরাফি অবশ্য আবাহনী আর মোহামেডান দুই ক্লাবেই খেলেছেন। এই তো গত দুই বছর আবাহনীতে খেলার আগেও মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন মাশরাফি। আর আশরাফুল গত দুই লিগে মোহামেডানের পক্ষে খেলেছেন।
আশরাফুল কখনো আবাহনীতে খেলেননি। তবে মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন কয়েক বছর। এছাড়া অন্য ক্লাবেও কখনো তারা একসাথে খেলেননি। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে এক সাথে হয়েছেন দুই পুরনো বন্ধু।
এ সম্পর্কে মোহাম্মদ আশরাফুল জানান, ‘আমি আর মাশরাফি জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে একসঙ্গে খেলেছি। কিন্তু কখনও ক্লাব ক্রিকেটে এক দলের হয়ে খেলা হয়নি। প্রিমিয়ার লিগে এক ক্লাবে খেলিনি, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিপিএলে আমরা ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সের হয়ে ২০১২ ও ২০১৩ সালে প্রথম দুই আসর একসঙ্গে খেলেছি।’