জুড়ীতে সরকারি নির্দেশ অমান্য, ১৩ জনকে জরিমানা
মৌলভীবাজারে জুড়ীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, লকডাউন কার্যকর ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) দিনব্যাপী জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বনিক এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় তাঁকে জুড়ী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। অভিযানের সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় বিভিন্ন অপরাধে ১৩ জনকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তন্মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৪/৬৬ ধারায় উপজেলার ছোটধামাই গ্রামের অলক রুদ্র পাল, জালালপুর গ্রামের কবির আহমদ, দীঘলবাক গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, কোনাগাঁও গ্রামের কামাল আহমদ, পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের আতাউর রহমান, ভবানীপুর গ্রামের সাকির চৌধুরী, দক্ষিণ জাঙ্গিরাই গ্রামের মনির হোসেন, শাহপুর গ্রামের ফজলু মিয়া, বড়লেখা উপজেলার সুজানগর গ্রামের মো. সুনু মিয়া, কুলাউড়া উপজেলার চাতলগাঁও গ্রামের মাজেদুল ইসলাম, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় উপজেলার ভোগতেরা গ্রামের জনৈক আহমদ, বড়লেখা উপজেলার গাংকুল গ্রামের মারুফ হোসেন এবং ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় উপজেলার কালনীগড় গ্রামের আব্দুল জব্বারকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়া জুড়ী বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হয়। অভিযানে আদার দাম মুহূর্তেই কমে যায়। সামনে এলসির আদার দাম আরো কমবে। পেঁয়াজের দাম বড় দোকানে খুচরা বিক্রি করছে ৪২ টাকা করে। ছোট দোকানে ৪৫-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ, জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারসহ সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ ধরনের অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে বিভিন্ন অপরাধে ১৩ জনকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে।