আজ স্বাধীনতা সাম্যবাদ জাগরণ প্রেম ও দ্রোহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (১২ ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় কবি নজরুল। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। ১৯৭২ সালের ২৪শে মে অসুস্হ কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষনা করেন বঙ্গবন্ধুর সরকার.কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে দৈনিক মৌলভীবাজার ডট কমের পক্ষ থেকে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী. দোয়া করি মহাণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেনো আমাদের জাতীয় কবিকে জান্নাতবাসী করেন.আমিন. এখানে উল্লেখ্য যে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, বিদ্রোহ, কবি কাজী নজরুল ইসলাম। অন্যায়, অত্যাচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সোচ্চার ও আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। তার রচিত কবিতা, গান ও গল্প বাংলাসাহিত্যের ভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে এবং ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লেখার কারণে কারাগারে ব্রিটিশ সরকারের নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে কবিকে। তবুও এই মহান পুরুষ ব্রিটিশ শাসকদের কাছে মাথানত করেননি। পরাধীনতার নিগড় থেকে বের হয়ে আসার জন্য তার আগুন ঝরা কবিতা এবং গানের মধ্য দিয়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন এই কবি। বাঙালির নবজাগরণ এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস ছিল তার গান ও কবিতা। যে কারণে বিদ্রোহী কবি আমাদের জাতীয় কবিতে পরিণত হয়েছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সামনে পথ চলার এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাসহ সব মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগীয়েছে। আজও তার কবিতা ও গান আমাদের সাহস ও শক্তি যোগায়।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে পশ্চিবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহুকমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি। তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন। বাবা-মায়ের ষষ্ঠ সন্তান কাজী নজরুল ইসলামের বাংলাসাহিত্যে আগমন অনেকটা ধূমকেতুর মতো। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে কবির সারাটি জীবন কেটেছে চরম অনটন আর কষ্টে। দারিদ্র্য ‘হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান’ এমন পঙ্ক্তিমালা রচনা করে দারিদ্র্যের জয়গান করেছেন মহান কবি। নজরুল ইসলাম আমাদের গর্ব ও অহংকার। ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট এই মহান কবি ইন্তেকাল করেন। আবারও কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি..