মৌলভীবাজার এর দুই সুনামধন্য প্রবীন চিকিৎসকের চিরবিদায়ে জেলাবাসী হারিয়েছে তাঁদের আপনজন।
মোস্তাক আহমদ অপু;করোনা সংক্রমনে দুই সুনামধন্য প্রবীন চিকিৎসক ডা: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ডা: সৈয়দ আক্তার হোসেনের চিরবিদায়ে মৌলভীবাজারবাসী হারালো দুই পরিচিত আপনজনকে।তাঁরা উভয়ে শুধু চিকিৎসা পেশায়ই নিয়োজিত ছিলেন না সামাজিক দ্বায়িত্ববোধ থেকে সমাজের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে গেছেন। দুজনই ছিলেন জেলা শহরের অতি পরিচিত প্রচার বিমুখ সৎ নিষ্টাবান অমায়িক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ।দুজনের সাথেই পারিবারিকভাবে আমাদের অনেকেরই পরিচিতি ছিল।ডা: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নিজস্ব পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেট অঞ্চলে একজন পরিচিত মুখ ছিলেন।মৌলভীবাজার জেলার প্রতিষ্ঠাকালিন স্কাউট কমিশনার হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি রৌপ্য অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী স্কাউট ব্যাক্তিত্ব ছিলেন।স্কাউটস পরিবারের সদস্য হতে অনেককে উৎসাহ প্রধান করে এতদঞ্চলের স্কাউট আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার একজন সুনামধন্য শিক্ষিকা হিসেবে আলী আমজদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে পরবর্তীতে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে অবসর নিয়েছেন।পরিবারের
একজন মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন অন্যজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৌলভীবাজার সদর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থেকেও মৌলভীবাজার নার্সিং ইন্সিটিউটের অতিথি শিক্ষক হিসেবে সেবা দিয়ে গেছেন ডা: সৈয়দ আক্তার হোসেন।পরবর্তীতে সিলেটে পরিবার কল্যান বিভাগের উপ পরিচালক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।সরকারচাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেও তিনি চিকিৎসা শিক্ষার প্রসারে মৌলভীবাজার মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষের দায়িত্বে পালন করেছেন ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত। তাঁর স্ত্রী ডা: মরহুমা সেলিনা সুলতানা ছিলেন সদর হাসাপাতালের সুনামধন্য মেডিকেল অফিসার।
সুনামধন্য এ চিকিৎসকদ্বয়ের মুত্যুতে মৌলভীবাজার জেলাবাসী হারিয়েছে তাঁদের আপনজন ।যাঁদের সততা ও নিষ্ঠাবান কর্ম চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।উভয়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।মহান আল্লাহ সকলকে যেন মাফ করে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্টিত করেন -আমিন।********************************************
লেখক পরিচিতি;- বৃটেনের সেন্ট্রাল লন্ডনে বসবাসকারী মোস্তাক আহমদ অপু. মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন।