মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এগিয়ে চলুন, জনগন আপনার সাথে।।
ড.রোয়াব উদ্দীন.
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান এমপি: সুনামগন্জ তথা বাংলাদেশের জনগনের হৃদয়ে উচ্চারিত একটি নাম, একটি প্রতিস্টান।
দক্ষিণ সুনামগন্জ ও জগন্নাথপুরের (সুনামগন্জ-৩) জনগন তাঁকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে। তিনি ভাটি অন্চল তথা হাওর কন্যা সুনামগন্জ জেলার উন্নয়নের রুপকার।
তাঁর সততা, দক্ষতা ও নি:স্বার্থ কাজে মুগ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি কারো দয়ায় মন্ত্রী হননি।
মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্তির মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে যে সমস্ত উন্নয়নের মহা-প্রকল্পগুলি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন সেগুলির কথা সুনামগন্জের মানুষ এর আগে কল্পনাও করতে পারেন নাই। মাননীয় মন্ত্রী একজন চিত্র শিল্পীর মত নিজ হাতে সুনামগন্জ জেলার উন্নয়নের ছবি অঙ্কন করেছেন: কোথায় কি হবে তা তাঁর পরিকল্পনায় এনে বাস্তবে রুপ দেয়া শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রচুর কাজ শুরু হয়েছে।
ছাতক-সুনামগঞ্জ রেল লাইন সম্প্রসারণের প্রাথমিক কাজ এগিয়েছে। এটি মোহনগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। দিরাই-শাল্লা সড়কে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। শাল্লা-জলসুখা ও আজমিরিগঞ্জ সড়কে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জ-ঢাকার দুরত্ব কমানোর জন্য পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে দুই লেন করা এবং রানীগঞ্জে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় কুশিয়ারার সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জে সীমান্ত সড়ক বাস্তবায়নের জন্য এবং টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকের টিলা বড়গাছা , চারাগাঁও ও বাগলী শুল্কস্টেশনে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। যাদুকাটা নদীতে সেতু নির্মাণ হচ্ছে এই সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য। এসব কিছুই করা হচ্ছে পুরো জেলাবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের জন্য। মাননীয় মন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন ও পরিকল্পনা হচ্ছে সুনামগন্জ শহর ও শান্তিগন্জের মধ্যেকার খালি জায়গায় বিভিন্ন উন্নয়নের স্থাপনা নির্মাণ করে সুনামগন্জকে ভাটি অন্চলের একটি বৃহৎ ও আদর্শ শহর হিসাবে প্রতিস্টা করা।
কিছুদিনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ-ধর্শপাশা-নেত্রকোণা যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ৮ কিলোমিটার উড়াল সড়ক প্রকল্প একনেক’এ অনুমোদন হবার কথা। সুনামগঞ্জের ডলুরায় ইমিগ্রেসন সুবিধাসহ স্থলবন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। সুরমা নদীর ধারারগাঁও-হালুয়ারঘাট অংশে সেতু হবে। এই উন্নয়ন কাজগুলো হলে সুনামগঞ্জ হবে ট্রানজিট শহর।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব দিকে একটি বাইপাস সড়ক হবে। এই সড়ক হলে শহর দক্ষিণ দিকে যেভাবে বাড়ছে পূর্বদিকেও বাড়বে। শহরকে বড় করতে কিছু দূরবর্তী এবং পুরো জেলাবাসীর সুবিধাজনক স্থানেই বড় বড় স্থাপনা করতে মন্ত্রী মহুদয়ের একান্ত ইচ্ছা। দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীর উপর এলাকাবাসীর দাবি মুক্তিযোদ্ধা সেতুরও বাস্তবায়ন মাননীয় মন্ত্রীর পরবর্তী কাজের তালিকার অগ্রাধিকারে আছে।
বিশ্ব বিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে। তাদের এবং সমগ্র সুনামগন্জ জেলার শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে স্থান নির্ধারণ করার কথা।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় এবং ১০ উপজেলার মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে। টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট মাননীয় মন্ত্রীর একক প্রচেস্স্টায় সিলেট থেকে স্থানান্তরিত করে সুনামগঞ্জে হচ্ছে। এটির স্থান নির্ধারণ হয়েছে চার জেলা এবং সুনামগঞ্জবাসীর সুবিধাজনক স্থান শান্তিগঞ্জে, সিলেট-সুনামগন্জ মহা সড়কের অতি নিকটবর্তী স্থানে।
আগামী বছর আমাদের মহান স্বধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। এই অর্ধশত বছরে সুনামগন্জে জনাব এম এ মান্নান সাহেবর আগে কোথাও একটা রাস্তা বা কলেজ প্রতিষ্টা হয়নি।
আজ মন্ত্রী মহুদয়ের সাথে আমার অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়। মাননীয় মন্ত্রী কয়েক সপ্তাহ পূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। এখনো পূর্ণ সুস্থতা লাভ করেন নি। চিকিৎসকদের পরামর্শে কর্মবিরতী ও বিশ্রামে আছেন।
আমরা লক্ষ্য করছি তাঁর এই অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁরই স্নেহধন্য কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ মন্ত্রী মহুদয়ের পেছনে উঠে পড়ে লেগেছেন: তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশৃংখলা ও বাধার সৃস্টি করছেন।জনাব মান্নান এমপি একজন সাদা মনের মানুষ এবং আত্মবিশ্বাসী রাজনীতিবিদ। তাঁর কাছে স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতেক কুন্দল এসবের কোন স্থান নেই। নেতাদের কান্ড-কারখানার কথা শুনে তিনি মনে বড় কস্ট পেয়েছেন।
নেতৃবৃন্ধের কাছে এবং এলাকাবসীর কাছে একটি প্রশ্ন।
আমরা কি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে গল্পের সেই হাঁসের পেট থেকে এক সাথে সব সোনার ডিম বের করার চেস্টা করে হাঁসটিকেই নি:শেষ করে দিচ্ছি না?
আমরা কি জনাব এম এ মান্নান এমপির এই অসুখের সময়ে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য আল্লাহ তালার দরবারে প্রার্থনা করে তাঁকে সাহস ও শক্তি দিতে পারি না?
অবশ্যই পারি।
বৃহত্তর সুনামগন্জের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্ধের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি আকুল আবেদন: আসুন আমরা সব রকম মত-পার্থক্য ভুলে গিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাটি অন্চলের উন্নয়নের মধ্যমণি, জননেতা জনাব এমএ মান্নান এমপির উন্নয়নের মিছিলে সমবেত হয়ে আওয়াজ তুলি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এগিয়ে চলুন,
আমরা আছি আপনার সাথে।
বিনীত।
ড.রোয়াব উদ্দীন.
(শান্তিগন্জের লন্ডন প্রবাসী এক নিরীহ জনগন)