———কে এম আবু তাহের চৌধুরী.
বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট সমাজসেবক ,রাজনীতিবীদ ,কমিউনিটির প্রাণপুরুষ ,ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এমবিই চিরদিনের জন্য চলে গেলেন ।আজ বুধবার ম্যানচেষ্টার থেকে মরহুমের লাশ বাংলাদেশের হবিগন্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বদরদী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।সেখানে পারিবারিক গোরস্থান ও মরহুমের প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা ও মাদ্রাসার নিকটে দাফন করা হবে।মহান আল্লাহ এই কর্ম বীরকে মাফ করে দিন ,সকল মহৎ কাজ কবুল করুন ও বেহেশত দান করুন ।
আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ১৯৬৩ সালে যুক্তরাজ্যে আসেন ।তার পিতা ছিলেন শামছুল আলম চৌধুরী ও মায়ের নাম ছিল আজিজুন্নেছা।তারা কেউ বেঁচে নেই ।বড় ভাই মরহুম গোলাম রব্বানী চৌধুরীর ( ফয়সল হোসেন চৌধুরী এমবিইর পিতা) সাথে বৃটেনে আসেন ।তিনি এদেশে শিক্ষা গ্রহণ ও কাজের পাশাপাশি সমাজ কর্মে জড়িত হন।তিনি ১৯৬৫ সালে লণ্ডনে পাকিস্তান সমিতির সাথে যুক্ত হন ।তাসাদ্দুক আহমদ এমবিই ছিলেন এ সংগঠনের সভাপতি ও তিনি ছিলেন সেক্রেটারী ।তিনি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন ,’৬৯ এর গন অভ্যুত্থান ,৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাত দিন কাজ করেন ।১৯৭৪ সালে তিনি ম্যানচেষ্টার স্থানান্তরিত হন ।১৯৮২ সালে তিনি ম্যনচেষ্টার শাহজালাল মসজিদের জয়েন্ট সেক্রেটারী নির্বাচিত হন ।১৯৯৮ সালে ও ২০০২ সালে দুইবার তিনি শাহজালাল মসজিদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।তাঁর অসাধারন ত্যাগ ও নেতৃত্বে নতুন মসজিদ ভবন নির্মিত হয়।তিনি ম্যানচেষ্টার আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।বিলেতের বৃহত্তম কমিউনিটি সংগঠন গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের প্রতিষ্ঠাকালিন কো-অরডিনেটিং কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ।জিএসসি নর্থ ওয়েস্ট রিজিওনাল কমিটির তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ।তিনি নর্থ ওয়েস্ট ক্যাটারিং এসোসিয়েশন ও নর্থ ওয়েস্ট বাংলাদেশী বিজনেস ফোরামের সভাপতি ছিলেন ।তিনি আন্জুমানে আল ইসলাহ ,লতিফিয়া মাদ্রাসা কমপ্লেক্স , বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাথে জড়িত ছিলেন ।নিজ পূর্ব পুরুষের নামে ‘আলহাজ্ব দাইমুদ্দীন চৌধুরী এতিমখানা ও হাফেজী মাদ্রাসা ‘ বদরদীতে প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের খেদমত করে গেছেন ।মরহুমের কর্মময় জীবন ছিলেন বিশাল ।আমার সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল ।খুবই মায়া ও সম্মান করতেন ।মহান আল্লাহ তাঁর সব ভাল কাজকে কবুল করুন ।
সবাইকে দোয়া করার জন্য মরহুমের আপন ভাতিজা ফয়সল হোসেন চৌধুরী এমবিই অনুরোধ জানিয়েছেন ।