বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন, সামাজিক সচেতনতা ও আমাদের দায়বদ্ধতা ভ্যার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্টিত।
…ফয়ছল মনসুর.
“বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে ” গতকাল ইউ’কে সময় ১০ ঘটিকায় “কোভিড ভ্যাকসিন, সামাজিক সচেতনতা ও আমাদের দায়বদ্ধতা শীষক এক ভ্যার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, যুক্তরাজ্যের
সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সাহাজানুর রাজার সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সেক্রেটারি, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জার্নালিস্ট ও এনএইচএস ওয়ার্কার নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম হরমুজ আলী,
বিশেয অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী ,ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর.
সচেতনতামুলক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নর্থ লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহিন আহমদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী যুক্তরাজ্যের নির্বাহী সদস্য মুহিদ রহমান, চেসিয়ার এন্ড নর্থ ওয়েলস আওয়ামী লীগের মহিলা বিযয়ক সম্পাদিকা রোকসানা রাজা সুমনা , বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী যুক্তরাজ্যের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জামান আহমদ ,সংস্কৃতি বিযয়ক সম্পাদক এনাম আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। ভ্যার্চুয়াল আলোচনায় আলোচকবৃন্দ বলেন আমাদের স্বাস্থ্য সম্পকিত কোন বিষয় নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কোভিড ভ্যকসিন হচ্ছে injection of hope ,আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প নেই। আমরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম কবে আসছে এই জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন। আসার পর আমরা আগ্রহ হারিয়েছি। ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের কমিঊনিটি মধ্যে মিথ্যা উপস্থাপনা আমাদের বিভ্রান্ত করছে। ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোন উদ্বেগ আমরা আমাদের ডাক্তারদের সাথে কথা বলতে হবে, তারা এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ।
আলোচকরা বলেন জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে তা অনভিপ্রেত। তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বলা হচ্ছে ইহা ইন্ডিয়ার ভ্যাকসিন যা সম্পুন্ন মিথ্যা। এটা অক্সফোডের Astrazeneca Vaccine , সেরাম ইনস্টিটিউট উপাদান করছে। মিথ্যাচার হচ্ছে দাম নিয়ে, বলা হচ্ছে বাংলাদেশ বেশী দামে কিনছে- তাও ঠিক না। ইন্ডিয়া যে দামে কোভিড ভ্যাকসিন কিনেছে বাংলাদেশ একি দামে কিনছে। প্রতি ডোজ ২ ডলার হিসাবে একজন লোকের প্রয়োজন ২ ডোজ। ১ ডোজের দাম ২ ডলার হলে ২ ডোজের দাম কত ? ১ ডোজের দাম ২ ডলার হলে ২ ডোজের দাম ৪ ডলার। আর ১ ডলার রাখা হয়েছে ট্রান্সপোটেশন ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ অত:পর দেশের ৬৪ টি জেলা সদরে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন বেক্সিমকোকে দায়িত্ব দেওয়া হল? সেরাম ইনস্টিটিউট বেক্সিমকোকে সিলেক্ট করেছে। ইহা ইন্ডিয়ার ভ্যাকসিন নয়, এটা অক্সফোডের astrazeneca vaccine সেরাম উপাদান করছে। সহজ হিসাবকে প্যাচ লাগাইয়া এই মহাবিপদে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারায় ব্যস্ত খাম্বারা। বক্তারা বলেন, কমিউনিটিতে অনেক অনুস্টান হচ্ছে -আপনাদের এমন সচেতনতামুলক অনুস্টান সত্যিই প্রশংসনীয়। ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধরনের মিথ্যাচার শুরু হয়েছে তা অনভিপ্রেত। স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের কথাই আমাদের মেনে চলতে হবে। ভ্যাকসিনের সাথে রাজনীতির কোন সম্পক নেই , জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনারা আলোচনা করছেন। ইহা কমিউনিটি নেতাদের দায়িত্ব কর্তব্য সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করা।সত্যিই প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমী, যুক্তরাজ্যের নেতৃবৃন্দকে এই মহতি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।।