বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজের লেখা মঞ্চ নাটক ও ভবিষ্যৎ।
=======================
কয়ছর আহমেদ
ছবি বা নাটক কত দেখেছি হিসেব নেই। মঞ্চ নাটকের তালিকাও কম না। আমার নিজের নাটক লেখার শুরু ১৯৯৮ সাল থেকে। প্রায় ৩৫ টির মতো নাটক লিখেছি। নির্দেশনাও কম না। এই নাটকের জন্যই সম্পন্ন করেছি মঞ্চের বিভিন্ন কোর্স।অভিনয় আর ফিল্ম কোর্স করেছি; এডিটিং, লাইট, ক্যামেরার জন্য করেছি আলাদা কোর্স।
বাস্তব অবাস্তব গল্পে বিনোদন হোক, হোক শিক্ষা; অনেক কিছু নাটকে লিখতে হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক লিখতে গিয়ে যতটুকু কষ্ট করতে হয়েছে সেটা ছিল আমার ধারণার বাইরে।
বাবার মুখে শুনা হোক, আর নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে হোক; বঙ্গবন্ধুকে জানা সেই ছোট থেকেই। কিন্তু যখন একজন নাট্য রচয়িতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক লেখার শুরু; সে সবের ধারে কাছে যাইনি। নিজ থেকে তথ্যগুলোকে বারবার মিলাতে হয়েছে। একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে অন্তত আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিনোদন দিতে পারিনা, শিক্ষাটাই আসল এখানে। কারণ –
===================================
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের আবেগ আর অন্য কারো আবেগ এক নয়।
====================================
এখানে নাটকীয়তার চেয়ে তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।যদি কোন তথ্য গড়মিল হয় ভেবে থেমে যেতে হয়েছিল বারবার। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্ক্রিপ্ট সহজ নয় জানতাম, তবে এতটা কঠিন তখনও জানা হয়নি।
কিভাবে করব? টিভিতে না মঞ্চে সেটা নিয়েও চিন্তা! টিভিতে করলে আন্তর্জাতিক মানের লাগে ১০০ কোটি, দেশের মানে লাগে তিন কোটি। আর মঞ্চে করলে চার লক্ষ। ঠিক আছে, যা স্বপ্নে দেখিনি তা নিয়ে ভাবনা না করাই ভালো। চার লক্ষই ভালো, অর্থাৎ মঞ্চই।
লিখতে গিয়ে প্রায় দুই শত বই, পত্রিকা পড়তে হয়েছে। ডকুমেন্টারী দেখতে হয়েছে আরো অনেকটি। এত কষ্ট, এত শ্রম, এত সময় দিয়ে লিখে আবার সেটা মঞ্চায়ন নিজ অর্থে! কেন, কার জন্য?
দায়টা আমার চেয়ে রাস্ট্রের আর দলেরই বেশি। ক্ষুদ্র মানুষ, একসঙ্গে সম্ভব না।বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতো আর ছাড়া যায়না। আবার সময়ের কারণে পুরোটাও সম্ভব নয়। ভাগ হল তিন ভাগে,নেমে আসল প্রতিটি এক ঘন্টা করে এবং একলক্ষ ৩০ হাজারে। তবুও ভবিষ্যৎ অন্ধকার।কারণ দায় শুধু যে একজন মুজিব সৈনিকের!